Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জানা-অজানা

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করছেন? এই শব্দ গুলির অর্থ জানা কিন্তু জরুরী

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করছেন? এই শব্দ গুলির অর্থ জানা কিন্তু জরুরী

স্টক, মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন, ব্লু চিপ স্টক, স্প্রেড, ভোলাটিলিটি, অ্যাসেট অ্যালোকেশন, কমন স্টক, বিড প্রাইস, ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের মতো শেয়ার বাজার সম্পর্কিত বিভিন্ন শব্দ সম্পর্কে আমরা আগেই জেনেছি। এগুলো ছাড়া আরও কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে জানাও জরুরি।

অ্যাভারেজিং ডাউন আসলে বিনিয়োগের একধরণের কৌশল। এক্ষেত্রে কোনও স্টকে বিনিয়োগের পর যদি সেই স্টকের দাম পড়ে যায় তাহলে কম দামে আরও বিনিয়োগ করার কথা বলা হয়। এর ফলে প্রতি শেয়ারে বিনিয়োগের পরিমাণ কমে যায় ও ওই শেয়ারের দাম সামান্য বাড়লেও বিনিয়োগকারী লাভবান হতে পারেন। অর্থাৎ, জুন মাসে যদি বিনিয়োগকারী X কোম্পানির শেয়ার ১০০ টাকা প্রতি শেয়ার হিসাবে ১০টি শেয়ার কিনে থাকে তাহলে তার বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ১০০x১০= ১০০০ টাকা।

আবার সেই শেয়ার জুলাইয়ের শুরুতে ধরা যাক ৫০ শতাংশ পড়ে গিয়ে দাম হয় ৫০ টাকা। তখন বিনিয়োগকারী আরও ২০ টি শেয়ার কিনল। তার খরচ হল ৫০x২০= ১০০০ টাকা। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারী মোট ২০০০ টাকা বিনিয়োগ করে X কোম্পানির ৩০ টি শেয়ার কিনেছেন। অর্থাৎ, তাঁর শেয়ার প্রতি দাম হবে ২০০০/৩০= ৬৬টাকা ৬৬ পয়সা। এই পদ্ধতিকে বলা হয় অ্যাভারেজিং ডাউন।

আরও পড়ুন :: গরম থেকে বাঁচতে AC ব্যবহার? কিন্তু জানেন কি ইলেকট্রিক বিল কম হবে?

বিয়ার মার্কেট (Bear Market) : বিয়ার মার্কেট বলতে বাজারের একটি বিশেষ অবস্থার কথা বলা হয়। যখন মার্কেট পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেই সময়কে বলা হয় বিয়ার মার্কেট। এই সময় কোনও স্টকে বিনিয়োক করা উচিৎ না। কারণ মার্কেট পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীর ক্ষতি হবে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় নতুন বিনিয়োগ না করলেও সিপ(SIP) বন্ধ করা উচিৎ না। বিয়ার মার্কেট যখন হয় ইতিহাস বলছে ইন্ডেক্স প্রায় ২০ শতাংশ বা তার বেশি পড়ে যেতে পারে।

বুল মার্কেট (Bull Market) : বিয়ার মার্কেটের একেবারে বিপরীত অবস্থা হল বুল মার্কেট। যে সময় বাজার আন্ডার ভ্যালু হয় যায় ও বাজার বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় তাকে বুল মার্কেট বলে। এই সময়টা বিনিয়োগের সেরা সময়। এই সময় বিনিইয়োগ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী অনেক বেশি লাভবান হতে পারেন।

বায়ব্যাক (Buyback) : যখন কোনও কোম্পানি বাজারে থাকা তাদের শেয়ারের পরিমাণ কমানোর জন্য বিনিয়োগকারীদের থেকে শেয়ার কিনে নেয় তখন তাকে বায়ব্যাক বলে। কোনও কোম্পানি বায়ব্যাক করলে সেই কোম্পানির শেয়ারের দাম সাধারণত হুহু করে বাড়তে থাকে।

রুপি-কস্ট অ্যাভারেজিং (Rupee-Cost Averaging) : অ্যাভারেজিং ডাউনের মতো রুপি-কস্ট অ্যাভারেজিংও বিনিয়োগের একধরণের কৌশল। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট সময় ছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার কোনও স্টক কিনতে থাকে, অনেকটা সিপ-এর মতো, তাহলে তাকে ডলার-কস্ট অ্যাভারেজিং বলা হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button