Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
প্রযুক্তি

মুন ওয়াক করছে প্রজ্ঞান রোভার! তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Chandrayaan-3 : মুন ওয়াক করছে প্রজ্ঞান রোভার! তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত - West Bengal News 24

ভারত চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনও চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছেছে। চন্দ্রযান-3-এ কতগুলি ডিভাইস লাগানো হয়েছে এবং চাঁদে তাদের কাজ কী হবে ?

অনেকেই জানেন প্রত্যেকটি যন্ত্রের উদ্দেশ্য চাঁদে উপস্থিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা। কিন্তু কে কোন তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • রেডিয়ো অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোসস্ফিয়ার (রম্ভা)
  • চন্দ্র’স সারফেস থার্মো ফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট (চেস্ট)
  • ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি (আইএলএসএ)
  • লেজার রেট্রোফেক্টর অ্যারে (এলআরএ) রোভার
  • আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এপিএক্সএস)
  • লেজার ইনডিউজড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (এলআইবিএস) প্রপালসন মডিউল
  • স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট আর্থ (শেপ)

কার কী কাজ জেনে নিন এক নজরে

ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি (ILSA):
এই যন্ত্রের কাজ চাঁদে ভূমিকম্প পরিমাপ করা। পৃথিবীতে যেমন ভূমিকম্প হয়, ঠিক তেমনি চাঁদেও ভূমিকম্প হয়। এর গতি, গভীরতা ইত্যাদি তথ্য জানার জন্য এই ডিভাইসটি ল্যান্ডারে বসানো হয়েছে।

রম্ভা (RAMVA):
এই যন্ত্রের কাজ হল মহাকাশের বায়ুমণ্ডল জানা। এই যন্ত্রটি চাঁদে উপস্থিত বিভিন্ন কণা, তাদের কতটা চার্জ আছে এবং তারা কীভাবে ছড়িয়ে আছে, কী গতিতে, কোথায় তারা নড়ছে এবং চাঁদের পৃষ্ঠে কী পরিবর্তন ঘটছে, সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। রম্ভা চাঁদের আবহাওয়াও শনাক্ত করবে।

লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS):
এই যন্ত্রের কাজ হল চাঁদের পৃষ্ঠে কম্পোজিশন অ্যানালিসিস করা।

লেজার রেট্রোফেক্টর অ্যারে (LRA):
এটি একটি ছোট ডিভাইস, যার কাজ হল পৃথিবী থেকে প্রেরিত লেজারের আলোকে প্রতিফলিত করা এবং ফেরত পাঠানো। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন পৃথিবী থেকে চাঁদ কত দূরে, ঘূর্ণন হার কত এবং চাঁদের কোন অংশে ল্যান্ডার রয়েছে।

আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এপিএক্সএস):
এই যন্ত্রের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন চাঁদে রোভারের চারপাশে কী কী পদার্থ রয়েছে। যেমন Mg, Al, Si, K, Ca, Ti, Fe ইত্যাদি।

চন্দ্র’স সারফেস থার্মো ফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট (চেস্ট):
এই যন্ত্রটির কাজ হল চাঁদের পৃষ্ঠের সাউথ পোলার রিজিয়নে থার্মাল প্রপার্ট পরীক্ষা করা।

স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি অফ হ্যাবিটেবল প্ল্যানেট আর্থ (শেপ):
ভবিষ্যতে গবেষণায় কাজে লাগবে, এমন ধরনের কিছু তথ্য সংগ্রহ করে আনা।

গত বুধবার ২৩ আগস্ট, সন্ধ্যা ৫.৫৫ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার। নির্ধারিত সময়ের আগেই দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডার। এরপর রোভারটি 2 ঘন্টা 26 মিনিট পর চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে। আপাতত চাঁদে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ জোর কদমে করে চলেছে ভারতের প্রজ্ঞান রোভার l

আরও পড়ুন ::

Back to top button