শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশ সংস্থার ওয়ার্কহর্স, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV-C57) থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল আদিত্য-L1কে, যা ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জন্য আর একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য চিহ্নিত করে। প্রসঙ্গত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করার দিন দশেকের মধ্যেই আদিত্য-L1 কে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয় ইসরো।
কোথায় গেল আদিত্য-L1 ? মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ISRO-র তরফে বলা হয়েছে, মহাকাশযানটি পৃথিবীর অভিমুখে পাঁচটি ম্যানুভারের মধ্যে তিনটি সম্পন্ন করেছে। মহাকাশযানটি চার মাসের মধ্যে তার অবজার্ভেশন পয়েন্টে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে , যেখানে এটি ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট 1 বা L1 এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। এটি আসলে পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যবর্তী স্থানের একটি বিন্দু , যা সূর্যের অবিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়।
আদিত্য L1 তার পরবর্তী ধাপে L1 ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্টের দিকে অগ্রসর হবে। এই পদক্ষেপটি পাঁচটি পৃথিবী-অভিমুখী অরবিটাল ম্যানুভারের একটি সিরিজের অংশ। মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করার প্রায় ১২৭ দিন পরে L1 পয়েন্টে তার নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছানোর আগেই অতিক্রম করবে বলে জানা গিয়েছে। সংস্কৃত ভাষায় সূর্যের অপর নাম আদিত্য। সেখান থেকেই সৌরযানটির নাম আদিত্য রাখা হয়। এই আদিত্য-L1 যানটি সাতটি স্বতন্ত্র পেলোড দিয়ে সজ্জিত, যা তৈরি করেছে ISRO এবং অন্যান্য অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলি।