বিচিত্রতা

যে বাজারে বিক্রি হয় বিয়ের পাত্রী !

যে বাজারে বিক্রি হয় বিয়ের পাত্রী !

দেশের বিভিন্ন স্থানে বউ বাজার রয়েছে। তবে সেখানে বিক্রি হয় আলু, পটলসহ নিত্যপণ্য। তবে বুলগেরিয়াতে এমন একটি বউ বাজার রয়েছে, যেখানে অর্থের বিনিময়ে কেনা যায় বউ। পাত্রের পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একটি মেয়ে বেছে কিনে নেন এবং তাকে পুত্রবধূ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান।

বিষয়টি অদ্ভুত হলেও সত্যি! শুনতে অবাক লাগলেও আজকের এই দিনে সেখানে নারী কেনাবেচা হয় বহাল তবিয়তে। আলু পেঁয়াজের মতোই এ বাজারে বিক্রি হন নারীরা। বাজারে মেয়েদের দাম ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়।

বুলগেরিয়ায় ‘বউ-বাজার’টি রয়েছে স্তার জাগোর নামের এক স্থানে। পুরুষরা এই বাজারে তাদের পরিবার নিয়ে যান এবং নিজের পছন্দমতো মেয়ে বেছে টাকা দিয়ে কিনে নেন।

যে মেয়েটিকে পছন্দ করা হয় তার সঙ্গে দর কষাকষি করা হয়। তারপর যখন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা প্রদত্ত মূল্যে খুশি হন, তখন সেই মূল্যে ছেলেটির পরিবারকে মেয়েটিকে দেওয়া হয়। এরপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং মেয়েটি তার স্ত্রীর মর্যাদা পায়।

আরও পড়ুন :: রেড ওয়াইনে ভেসে গেল গোটা শহর

এই কনের বাজারটি মূলত গরিব পরিবারের মেয়েদের জন্য। যেসব মেয়ের পরিবার অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তারা তাদের মেয়েকে নিয়ে যায় এই বাজারে।

বুলগেরিয়ায় বহু যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। এই বাজার স্থাপনের অনুমতি মিলেছে সরকারের পক্ষেও।

তবে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রথমত মেয়েটিকে কুমারী হতে হবে। এমন হলে তার দর বেশি হয়। শুধুমাত্র কালাইদঝি সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাদের মেয়েদের এই বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পরিবারটির দরিদ্র হওয়া আবশ্যক। আর্থিকভাবে সাবলম্বী বা ধনি পরিবের মেয়েদের বিক্রি করা নিয়ম বিরুদ্ধ। এছাড়াও বাজারে কেনা মেয়েটিকে পুত্রবধূর মর্যাদা দেওয়া আবশ্যক।

উল্লেখ্য, শুধু বুলগেরিয়াতেই নয়, এমন ভয়াবহ ঘটনা নাইজেরিয়ার একটি সম্প্রদায়ের জন্য নিত্যদিনের ব্যাপার। দেশটির সর্বদক্ষিণের ক্রস রিভার রাজ্যের বেশেরে সম্প্রদায়ে মানি ম্যারেজ বা অর্থের বিনিময়ে অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ের নামে বিক্রি করে দেয়া একটি প্রচলিত প্রথা।

মূলত দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের শিশুদের বিয়ের নামে মোটা অংকের বিনিময়ে কিনে নেন প্রভাবশালীরা। দেশটির আরও কয়েকটি সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও এ ধরনের বিতর্কিত প্রথার চল রয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button