আন্টার্টিকাতে ইসরোর স্টেশন! তবে জানেন হিমশীতল আবহাওয়ায় কিভাবে কাজ করে এই আর্থ স্টেশন?
![আন্টার্টিকাতে ইসরোর স্টেশন! তবে জানেন হিমশীতল আবহাওয়ায় কিভাবে কাজ করে এই আর্থ স্টেশন? আন্টার্টিকাতে ইসরোর স্টেশন! তবে জানেন হিমশীতল আবহাওয়ায় কিভাবে কাজ করে এই আর্থ স্টেশন?](http://westbengalnews24.com/wp-content/uploads/2023/11/bharti-station-antarctica-025449926-16x9_0.jpg)
ইসরোর অস্তিত্ব শুধুই ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর নেটওয়ার্ক ভারতের দক্ষিণ প্রান্ত বেঙ্গালুরু থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু আন্টার্কটিকার হিমশীতল এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
উন্নত গ্রাউন্ড স্টেশনটি ISRO’র আর্থ অবজ়ার্ভেশন ডেটা সংগ্রহকে পরিপূরক করে তোলে। আক্ষরিক অর্থে ইসরোর এই পরিষেবা বিশ্ব দরবারে দেশের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। সর্বক্ষণ সক্রিয় থাকে এই স্টেশন। ভিডিও কনফারেন্সিং , ভিডিও স্ট্রিমিং এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ়িং অ্যাপ্লিকেশন গুলির জন্য একটি ডেডিকেটেড কমিউনিকেশন লিঙ্কও সেখানে স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :: পৃথিবীতে কমবে অক্সিজেন, বাড়বে ক্ষতিকারক উপাদান
এছাড়াও এই স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন স্টেশনটি আন্টার্কটিকার আর একটি ভারতীয় স্টেশন মৈত্রীতে গবেষণা পরিচালনায় দেশের বৈজ্ঞানিক কমিউনিটিকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কি কাজ করে এই ষ্টেশন ?
ইসরো সূত্রে খবর , বিভিন্ন ভারতীয় রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট থেকে ডেটা রিসিভ করে AGEOS। তার মধ্যে রয়েছে CARTOSAT-2 সিরিজ়, SCATSAT-1, RESOURCESAT-2/2A এবং CARTOSAT-1। সংগৃহীত সেই ডেটা তারপর ট্রান্সফার করা হয় ভারতের হায়দ্রাবাদের শাদনগরে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারে । এই উন্নত গ্রাউন্ড স্টেশনটি ISRO-র আর্থ অবজ়ার্ভেশন ডেটা সংগ্রহকে পরিপূরক করে তোলে।
প্রশ্ন হচ্ছে , আন্টার্টিকাতেই কেন স্টেশন ? মেরু অঞ্চলে আর্থ স্টেশন থাকার সবথেকে বড় সুবিধা হল , বর্ধিত দৃশ্যমানতা পাওয়া যা অন্য কোনও অঞ্চল থেকে সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি মিশনের জন্য AGEOS প্রতিদিন ১০ টি পর্যন্ত পাস পর্যবেক্ষণ করতে পারে , যা পৃথিবী পৃষ্ঠের একটি বিস্তৃত দৃশ্য প্রদান করে। কৃষি , জলসম্পদ, নগর পরিকল্পনা, গ্রামীণ উন্নয়ন সহ খনিজ সম্ভাবনা, পরিবেশ, বন এবং সামুদ্রিক সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো কৌশলগত অবস্থানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্লোবাল রিমোট সেন্সিং ডেটা সংগ্রহের অনুমতি দেয়।
ইসরোর সেই স্টেশনটির নাম দ্য আন্টার্কটিকা গ্রাউন্ড স্টেশন ফর আর্থ অবজ়ার্ভেশন স্যাটেলাইটস। আন্টার্কটিকার লার্সম্যান হিলসে ভারতী স্টেশন অবস্থিত এই স্টেশন। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্টার্কটিকায় এই ভারতীয় স্টেশনটি পরিষেবা দিয়ে আসছে। ২০১৩ সালের আগস্টে এই স্টেশনটির কমিশন করা হয়।