সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকুন, সানবার্নের জ্বালা বাড়ায় স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি

সানবার্ন ব্যবহারের অভ্যাস ? সানবার্নের জ্বালা বাড়ায় স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি ! রোদে ত্বকের কিছু অংশ পুড়ে যায়, সেটাকেই সানবার্ন বলে। এতে ত্বকের উপর অস্বস্তি তৈরি হয়। জ্বালাভাব বাড়ে এবং লালচে ভাব দেখা দেয়।

সানস্ক্রিন মাখলেও ১০০ শতাংশ ট্যান এড়ানো যায় না। তবে, পরবর্তী সময়ে ট্যান তুলতে পারবেন। যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে কাজে লাগান ঠান্ডা দুধকে। সানবার্নের উপর যেভাবে প্রয়োগ করবেন ঠান্ডা দুধ –

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলোর বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলোর বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

আরও পড়ুন :: বয়স ৪০ পেরিয়েও থাকুন ছিপছিপে

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন যে ত্বকের ক্ষতি করে, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

১) চাঁদিফাটা রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

আরও পড়ুন :: দাঁতের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

ট্যান রিমুভাল প্যাক কিংবা ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিয়ে ট্যান তোলা যায়। কিন্তু সানবার্ন দূর করা সবচেয়ে কঠিন। ট্যানের থেকে অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক সানবার্ন। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না।