ভগ্নীপতিকে খুনের দায়ে এক শ্যালককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিল ঝাড়গ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। শুক্রবার ওই আদালতের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস এই সাজা ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত বিন্ধ্যানীর বাড়ি গোপীবল্লভপুর থানার চুনঘাটি গ্রামে। নন্দলালের বিরুদ্ধে তাঁর বোন টুসু রানা বিন্ধ্যানীর স্বামী গোপাল পৈড়াকে (৩৬) খুনের অভিযোগ ওঠে।
গোপালের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের কেশবডিহি এলাকায়। তবে সে স্ত্রীর সঙ্গে চুঘাটি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। ২০২০ সালের ১৯ এপ্রিল গোপালের রক্তাক্ত দেহ গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
গোপালের বাবা প্রদীপ পৈড়া খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। প্রদীপ গোপীবল্লভপুর থানায় নন্দলাল এবং তার বোন টুসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়। জানা যায়, নন্দলালের স্ত্রী সঙ্গে গোপালের বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে গোপালকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। পরে জামিনে ছাড়া পায় টুসু।
পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ২০২০ সালের ১২ জুলাই। ২০২২ সালের ৬ জুন বিচারের জন্য মামলার চার্জ গঠন হয়। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
আদালত নন্দলালকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পায় টুসু। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।