এবারেও ভোট দিতে পারলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

এবারেও আশাহত বাম প্রার্থী। শারীরিক অসুস্থতায় ভোট দিতে পারলেন না অশীতিপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুসারে যাঁদের ৮৫ বা তার বেশি বয়স তাঁরাই বাড়ি থেকে ভোট দানের সুবিধা পাবেন। ফলে সেই নিয়মের জেরে বাড়িতে বসেও ভোট দিতে পারলেন না তিনি।
এক যুগেরও বেশি সময় হয়ে গেছে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে পরাজয়ের পর রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে বামেদের সমাবেশে গেলেও সেই মঞ্চে ওঠেননি তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় বারবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এছাড়াও নানাবিধ বার্ধক্যজনিত সমস্যা রয়েছে। এখন ঘরেই নিয়মিত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে বালিগঞ্জ পাঠভবন স্কুলে বুদ্ধদেববাবুকে সস্ত্রীক শেষবার ভোট দিতে যেতে দেখা যায়। ঊনিশের লোকসভা ভোটে ভোট দিতে যেতে পারেননি তিনি।
গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেননি বুদ্ধদেববাবু। ভোটের প্রচার থেকে বহু দূরে থাকা বুদ্ধবাবুকে এবার সরাসরি ভোটারদের সামনে হাজির করার অভিনব পন্থা নিয়েছিল সিপিআইএম। চব্বিশের নির্বাচনে দল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বুদ্ধবাবুর অডিও বার্তা প্রকাশ্যে আনে।