মোদীকে নিয়ে কুকথা। একাধিকবার মোদীকে নিশানা করায় মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিল ভারতের। সেই মলদ্বীপকেই আবার মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রতিবেশী সব দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে। তাতে সামিল মলদ্বীপও।
সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে বলে কিন্তু প্রতিবেশী এই রাষ্ট্রকে দূরে সরিয়ে দেয়নি ভারত। এক কথায় সহিষ্ণুতার নজির তৈরি করেছে ভারত। যে মইজুর সঙ্গে এতো বিরোধ তাঁকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোদীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে। জানা গিয়েছে তিনি যোগ দেবেন অনুষ্ঠানে। অর্থাৎ ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মোদীর শপথে থাকবেন মইজু।
মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কই ছিল। ভারত সেনাবাহিনী দিয়ে সাহায্য করা থেকে শুরু করে খাদ্য সব দিক দিয়ে ভারতের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে মলদ্বীপ। তারপরে হঠাৎ করে ভারতের বিরুদ্ধে মইজ্জুর মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী মুখ খুলতে শুরু করেন। এমনকী সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন তাঁরা। যদিও মইজ্জু তারপর তাঁদেরক বহিষ্কার করে। কিন্তু তারপরেও মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। উল্টে ভারতীয় পর্যটকরা মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন। মলদ্বীপে যাওয়া বন্ধ করে দেন ভারতীয় পর্যটকরা। ভারতীয় পর্যটকদের উপর নির্ভর ছিল মলদ্বীপের অর্থনীতি। ভারতীয় পর্যটকরা হঠাৎ করে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় মলদ্বীপের অর্থনীতিতে বিপুল ধাক্কা এসেছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদী লাক্ষাদ্বীপে গিয়ে ছবি শেয়ার করে মলদ্বীপের বিকল্প পর্যটন কেন্দ্রের ঠিকানা দিয়েছিলেন ভারতীয় পর্যটকদের। তারপর থেকে মলদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপ ট্রেন্ড শুরু হয়ে যায়। এদিকে ভারতীয় পর্যকরা মলদ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় অর্থনৈাতিক চাপ তৈরি হয়েছিল মলদ্বীপের উপরে। তারপরেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মলদ্বীপ। এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে মইজ্জু সরকারের বিরোধ তৈরি হয়েছিল। যদিও পরে মইজ্জু ভারতের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে আসার অনুরোধ জানাতে থাকে।