রাজ্য

বাংলা থেকে মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন সুকান্ত-শান্তনু

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

বাংলা থেকে মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন সুকান্ত-শান্তনু

আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। তাঁর সঙ্গেই আরও বেশ কয়েকজন সাংসদ মন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। বাংলা থেকে শপথ নেবেন রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মুখ।

জায়গা (PM Modi Oath Ceremony) পাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হতে চলেছে সেখানে এবারও জায়গা পাচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। এর আগে অর্থাৎ দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর জাহাজ প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছিলেন।

যদিও এবার তাঁর কাঁধে নয়া মন্ত্রকের দায়িত্ব চাপতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে প্রতিমন্ত্রী হিসাবেই শান্তনু ঠাকুর শপথ নেবেন বলে খবর। অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও আজ রবিবার মোদীর মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। তবে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব পাবেন তা স্পষ্ট নয়।

তবে পুরো বিষয়টি নেতৃত্বের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। তিনি জানিয়েছেন, দলের রেজিমেন্ট একজন সৈনিক আমি। বৃহত লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। দল যে দায়িত্ব দেবে তা মাথা পেতে নেওয়ার কথা জানান সুকান্ত মজুমদার। শুধু তাই নয়, রাজ্য সভাপতি পদ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এজন্য দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

খুব শীঘ্রই রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে কাকে দায়িত্বে নিয়ে আসা হবে তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এবার বাংলায় বিজেপির ফল ভালো হয়নি। ২০১৯ সালের ১৮ টি আসনও ধরে রাখতে পারেনি। এক ধাক্কায় ১২ তে নেমে এসেছে সাংসদ। এরপরেই রাজ্য সভাপতি পদে বদল আনা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়। সুকান্ত মজুমদারকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে নিয়ে এসে অন্য কাউকে ২৬ এর লক্ষ্যে রাজ্য সভাপতি বিজেপি করতে পারে বলেও জ;ল্পনা।

যদিও এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, যখন দায়িত্ব পেয়েছিলাম সেই সময়ই বলেছিলাম চেয়ার কখনই পার্মানেন্ট নয়। সৈনিক আমরা। যা বলবে তাই করব। অন্যদিকে শান্তনুকে এবার ফের মন্ত্রী পদে নিয়ে এসে কার্যত পুরস্কৃতই করল মোদী-শাহ। গোটা বঙ্গ ব্রিগেড যখন বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়ল সেই সময়ও মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারেনি তৃণমূল। এবারও নিজের গড় ধরে রেখেছেন শান্তনু ঠাকুর।

আরও পড়ুন ::

Back to top button