জীবন যাত্রা

অল্প বয়সে সফল হওয়ার ৭ টিপস

অল্প বয়সে সফল হওয়ার ৭ টিপস

জীবনের সফলতা কে না পছন্দ করে। সবাই তো নিজের জীবনের সফলতা খুঁজে। সফলতা খুঁজতে গিয়ে বুঝে না বুঝে আমরা অনেক ধরনের ভুল করে থাকি। মানুষ মাত্রই নিজের ব্যাপারে অন্ধ থাকে এবং নিজের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করে ফেলে।

কেন অন্যেরা আপনার চাইতে আরো এগিয়ে যাচ্ছে সবক্ষেত্রে? সত্যি বলতে কি কিছু সামান্য ব্যাপারই আপনাকে নতুন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা থেকে বিরত রাখছে। কি সেই ব্যাপারগুলো? জেনে নিন আর শিখে নিন এমন সাতটি ব্যাপার বর্তমান বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে যেগুলো প্রতি তরুণেরই শেখা দরকার!

১। প্রতিজ্ঞা রক্ষা করা
প্রতিজ্ঞা, সেটা যাকেই করে থাকুন না কেন, রক্ষা করার চেষ্টা করুন। অফিসে কিংবা অফিসের বাইরে, একবার আপনি কাউকে কিছু করার কথা বলেও না করলে পরবর্তী জীবনে খুব বেশি ভোগাবে সেটা আপনাকে। আর তাই চেষ্টা করুন নিজের কথা রাখতে।

২। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন
নিয়ন্ত্রণ করুন নিজেকে। নমনীয় থাকুন। সেটা আপনার অনুভূতি হোক কিংবা বাজে অভ্যাস। হয়তো হুটহাট রেগে যান আপনি কিংবা অকারণেই খরচ করেন বেশি। কিন্তু সেগুলোর কোনটাই আপনার জীবনে কোন ভালো ফল বয়ে আনবে না। আর তাই চেষ্টা করুন নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে। কখনো কিছু করতে ইচ্ছে হলে প্রথমেই চোখ বুজে দশ অব্দি গুনুন। তারপর আবার ভাবুন জিনিসটি করা উচিত হবে কিনা আপনার। হয়তো উত্তরটা না ও হতে পারে।

৩। খাবার টেবিলের ভদ্রতা শিখুন
অনেক সময়ই ইন্টারভিউ কিংবা দরকারী ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলার পরিচিত একটি জায়গা হয়ে ওঠে খাবার টেবিল। আর তাই শিখে নিন খাবার টেবিলেন ভদ্রতা। জোর শব্দে চিবানো, হাত-মুখ মাখামাখি করে ফেলা, চামচের ব্যবহার না জানা, অতিরিক্ত শব্দ করা- এসবই হয়ে উঠতে পারে অন্য ব্যাক্তিটির কাছে বিরক্তিকর। আর তাই যত দ্রুত পারেন শিখে নিন এটি।

৪। সৎ থাকা
নিজেকে সত্যিকারভাবে তুলে ধরুন। সেই সাথে নিজের অবস্থানকেও। হতেই পারে অফিসে দেরি করে পৌঁছেন গেছেন আপনি। কিন্তু তাই বলে স্বভাববশত যানবাহনের সমস্যা, রাস্তার জ্যাম কিংবা মিথ্যে কোন অজুহাত দিতে যাবেননা। বরং ক্ষমা চান এবং সত্যি কারণটা বলুন।

৫। সমালোচনাকে গ্রহন করা
মানুষ মাত্রই নিজের ব্যাপারে অন্ধ থাকে। ফলে নিজের কোনরকম সমালোচনা শুনলেই সেটাকে বাজেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে কিংবা এড়িয়ে চলতে চাই সে। সেই সাথে সমালোচনাকারীর প্রতি একটা রোষ তো থেকেই যায়। কিন্তু যদি আপনি সফল হতে চান তাহলে এড়িয়ে চলুন এই কর্মকান্ডকে। মেনে নিন যে আপনি মানুষ। আপনারও ভুল হতেই পারে। আর তাই কেউ সমালোচনা করলে সেটাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহন করুন এবং সেটাও সমালোচনাকারীর প্রতি ভালো মনোভাব রেখেই।

৬। কথপোকথন শুরু করা
প্রায় প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই এ সমস্যাটি দেখা যায়। আর সমস্যাটি হল নতুন আর অপরিচিত কারো সাথে সহজভাবে মিশতে না পারা। কিন্তু সফল হয়ে উঠতে হলে আপনাকে সবচাইতে বেশি সাহায্য করবে আপনার পরিচিতি। আর সেটা তখনই আসবে যখন সবার সাথে খোলামনে আর আন্তরিকভাবে আলাপ জমাতে পারবেন আপনি। কে জানে জীবনের চলার পথে কোন মানুষটি কাজে লেগে যায় আপনার! হতে পারে সে আপনার পাশের অপরিচিত মানুষটিই। আর তাই কথপোকথন করতে শিখুন আর বন্ধু তৈরি করুন।

৭। নিচের চাহিদাকে তুলে ধরা
আপনি কখনোই আপনার কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পাবেননা যতক্ষণ না সেটা চাইছেন আপনি। নিজের চাহিদার কথা না জানালে অতি আপনজনও বুঝবেনা ঠিক কি চাইছেন আপনি। আর তাই স্পষ্ট কন্ঠে নিজের চাহিদা প্রকাশ করতে শিখুন। হয়তো সেটা এখনই সম্ভব হবে না আপনার পক্ষে। কিন্তু অফিসে না হলেও ঘরে কিংবা বাজারের তরি-তরকারি কিনতে গিয়ে দরদাম করুন। নিজের চাহিদা জানান সবাইকে আর সেটা নিয়ে লড়ুন। খুব বেশিদিন লাগবেনা ব্যাপারটার সাথে আপনার অভ্যস্ত হতে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button