জেনে নিন কী ভাবে সামলাবেন স্বার্থপর বন্ধুকে
আমাদের সবার মধ্যেই অল্পবিস্তর স্বার্থপরতা লুকিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের আশেপাশে এমন অনেক বন্ধু আছেন যারা শুধু নিজেদের কথাই ভাবেন। ভাবেন তাদের স্বাচ্ছন্দ্য, তাদের সুখ, ভাল থাকা, তাদের দাবি পৃথিবীতে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কারও কথাই ভাবার সময় বা ইচ্ছা থাকে না তাদের। নিজেরা এক অকারণ সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স আঁকড়ে ধরে থাকে। এই ধরনের মানুষদের সামলে চলবেন কী করে? জেনে নিন ১০ উপায়-
১) স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক মানুষদের অন্য কারও সম্পর্কে কোনও শ্রদ্ধা থাকে না। এই সহজ কথাটা বিশ্বাস করতে শুরু করুন। যত ঘনিষ্ঠ যত কাছের মানুষই হোন না কেন তাদের কাছে কোনও প্রত্যাশাই রাখবেন না।
২) স্বার্থপর মানুষদের অদ্ভুত একটা ক্ষমতা থাকে। তারা অন্যদের মনোযোগ সহজেই কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু অন্যদের মনমতা, ইচ্ছা-অনিচ্ছার পরোয়া করে না। সব সময় অন্যের ইচ্ছাকে প্রাধ্যন্য না দিয়ে, নিজেকে প্রাপ্যকে গুরুত্ব দিতে শিখুন। স্বার্থপরদের সঙ্গে পাল্টা কিছুটা স্বার্থপরতার পথে না হাঁটলে টেকা মুশকিল।
৩) স্বার্থপর লোকজনের আচার ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে অনেকেই দুর্ব্যবহার করে ফেলেন। আন্তকেন্দ্রিক মানুষদের পাল্লায় পড়ে এমন কিছু করবেন না যা আপনার স্বভাব বিরুদ্ধ। নিজের প্রতি সত্ থাকুন। অন্য কারও আচরণে প্ররোচিত হয়ে নিজেকে নামিয়ে ফেলবেন না।
৪) স্পষ্টভাষী হোন। স্বার্থপর ব্যক্তিদের পরিস্কার বোঝান যে, পৃথিবী তাদের কেন্দ্র করে ঘোরে না।
৫) আন্তকেন্দ্রিক, স্বার্থপর মানুষরা সব সময় অন্যদের মনোযোগ পেতে চায়। তাদের এই অবান্তর চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করুন। হাবেভাবে বুঝিয়ে দিন, তাদের মন যুগিয়ে চলা আপনার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়।
৬) স্বার্থপর ব্যক্তিদের এক তরফা উপকার করা বন্ধ করুন।
৭) তাদের সঙ্গে সময় কাটানো কমিয়ে ফেলুন আস্তে আস্তে।
৮) পৃথিবীটা শুধু স্বার্থপর মানুষে ভর্তি নয়। এমন বহু মানুষই আছেন যারা সম্পর্কের মানে বোঝেন। সারা ক্ষণ শুধু নিজেদের কথা ভাবেন না। এমন মানুষদের সঙ্গে বেশি করে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।
৯) এক সঙ্গে সময় কাটানো হলে শুধু মাত্র অন্যের পছন্দের বিষয় নিয়েই আলোচনা করবেন না। আপনার যা যা পছন্দের টেনে আনুন সেই প্রসঙ্গও।
১০) যদি দেখেন কোনও কিছুতেই আপনার স্বার্থপর বন্ধুটির ব্যবহারে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসছে না, তাহলে নিজের মনকে শক্ত করে সেই সম্পর্ক কাটিয়ে ওঠাই ভাল।