জীবনে একবার হলেও দেখতে ইচ্ছে করবে যে ব্রীজগুলো
ব্রীজ বা সেতু মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যখনই আমরা কোন নদী, লেক, খাল অতক্রম করতে চেয়েছি তখনই সেখানে নির্মাণ করেছি সেতু। এই সেতু কখনো হয়েছে ইতিহাসের অংশ, কখনো এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে মানুষকে। শুধু যোগাযোগ মাধ্যমের বাইরেও ব্রীজ হয়েছে ভ্রমণের আকর্ষণ, সময় কাটানোর মোহনীয় জায়গা। আসুন দেখে নিই বিশ্বের ১০ টি চমৎকৎকার ব্রীজ, যা আপনাকেও টেনে নিতে চাইবে তাঁর কাছে!
১। জাপানের আকাশী কাউকো ব্রীজ, পার্ল ব্রীজ নামেও পরিচিত। ব্রীজটি ১,৯৯১ মিটার লম্বা, নির্মিত হয় ১৯৯৮ সালে।
২। চার্লস ব্রীজ, প্রাগ। প্রাগের ভ্যান্তাভা নদীর উপরে বালুকা পাথরে ব্রীজটি নির্মিত। ১৪ শতকে নির্মিত ব্রীজটি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।
৩। অক্টাভিও ফ্রাইজ ডি অলিভেরা ব্রীজটি অবস্থিত ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে। পিনহ্যারিয়াস নদীর উপর অবস্থিত ব্রীজটি ব্রাজিলের একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ীর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
৪। পন্ট ডু গার্ড ব্রীজ। ফ্রান্সের ভার্স পন্টু গার্ড শহরে অবস্থিত। খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে নির্মিত ব্রীজটি রোমান সাম্রাজ্যের সৃষ্টির নিদর্শন। গার্ডন নদীর উপরে নির্মিত ব্রীজটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ।
৫। ব্রুকলিন ব্রীজ, আমেরিকার নিউ ইয়োর্কে অবস্থিত। ব্রীজটি ম্যানহাটন এবং ব্রুক্লিনকে সংযুক্ত করেছে। জাতীয় ইতিহাসের অংশ হিসেবে স্বীকৃত ব্রীজটি ১৮৮৩ সালে নির্মিত।
৬। হেলিক্স ব্রীজ, সিঙ্গাপুর। ডি এন এ এর আকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রীজটি নির্মিত। মারিনা বে এর উপর দিয়ে ব্রীজ টি সিঙ্গাপুরের মারিনা অঞ্চলের দুই অংশকে সংযুক্ত করেছে।
৭। ইউ বেইন ব্রীজ, আমারা পুরা, মায়ানমার। ১,০৮৬ টি পিলার সম্বলিত ব্রীজটি ১।২ কিলোমিটার লম্বা। নির্মিত ১৮৮৬ সালে।
৮। জলের ওপর নয়, বরং জলের নিচে অবস্থিত এই মোসেস ব্রীজ। নেদারল্যান্ড এর হ্যালসটারেন এ অবস্থিত। কাঠের তৈরি ব্রীজটি যেন জলকে দুই ভাগে ভাগ করেছে।
৯। দোংগাই ব্রীজ চীনের সাইহাই শহরে অবস্থিত। ২০০৫ সালে নির্মিত সেতুটি ৩০.৫ কিলোমিটার লম্বা।