জানা-অজানা

প্রশ্নোত্তরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন…

প্রশ্নোত্তরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন...

১. নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সংক্ষেপে CAB কি?
● নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAB হোল এক কথায় শরণার্থী আর অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে তফাৎ নির্দিষ্ট করা। ভারতবর্ষে যাঁরাই আসছেন তাঁরা প্রত্যেকেই যে স্বাগত নন তা নির্দিষ্ট করার জন্য এই বিল আনছেন কেন্দ্র সরকার। তাছাড়াও এই পদ্ধতিতে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব প্রমাণ করে দেবে ইসলামিক জেহাদি আক্রমণের ফলে উৎসন্ন ছিন্নমূল বাঙ্গালী হিন্দুর সংখ্যাটাও।

২. নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAB-এর সুবিধা কারা কারা পাবে?
● এই আইনের সুবিধা পাবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, শিখ, জৈন, পার্শীরা।

৩. বাঙ্গালী হিন্দুদের এই আইনে কি উপকার হবে?
● বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এই আইনের সুবিধা পাবেন। বস্তুত এই আইনের ফলে সব থেকে বেশী লাভবান বাঙ্গালী হিন্দুরাই হবেন। কারন দেশভাগের পরেও বিশাল সংখ্যক হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই বৈধ নাগরিক বলে গণ্য হবেন এই আইন পাশ হলে।

৪. এই আইনে নাগরিকত্বের সুবিধা নিতে গেলে কি আগে নিজেদের শরণার্থী বলে ঘোষণা করতে হবে?
● না কখনই এদের নিজেদের শরণার্থী বলে নিজেদের ঘোষণা করতে হবেনা। যাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে ছয় বছরের বেশী আছেন এবং ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৪-এর পূর্বে এসেছেন এবং শেষ এক বছর ভারতবর্ষেই আছেন তারা প্রত্যেকেই এই আইনের সুবিধা পাবেন। হয়ত এমনও হতে পারে যেহেতু ২০১৬ তে প্রথম বার বিল পেশ করার সময় থেকে আরও তিন বছর পার হয়ে গেছে তাই ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখটিকে আরও বাড়ানোও হতে পারে। বিল পেশ হলে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কোন কোন স্বার্থান্বেষী মহল থেকে এইসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। এদের কথার কোন বিশ্বাস যোগ্যতাই নেই।

৫. ৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখটি নিয়ে কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে?
● কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ২০১৫ সালে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত অন্য দুটি আইন যেমন – ১৯২০ সালের পাসপোর্ট এক্ট (এন্ট্রি টু ইন্ডিয়া) এবং ১৯৪৬ সালের বিদেশী আইনে পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, শিখ, জৈন, পার্শী যারা ৩১শে ডিসেম্বর,২০১৪-এর আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে ঘোষণা করেছে যে কোন অবস্থাতেই এদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে গণ্য করা হবেনা।

৬. আচ্ছা এই যে বলা হচ্ছে অত্যাচারিত হলে বা অত্যাচারের ভয়ে এদেশে চলে এসেছে যারা। কিন্তু এই অত্যাচার বা অত্যাচারের ভয়ের প্রমান কিভাবে দেওয়া যাবে?
● কোন প্রমান চাওয়া হবে না। শুধুমাত্র ফর্মে একটি ঘোষণার কলাম থাকবে, সেখানে উল্লেখ করতে হবে। ভারত সরকার কখনই এই প্রমান চায় না কারন এক্ষেত্রে অপরাধ যা হয়েছে তা বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন। কাজেই সেই বিচারের ভার বাংলাদেশ সরকারের।

● যেহেতু ভারতসরকার কোন বিচার করছে না, তাই তারা প্রমান চাইছে না। কিন্তু এই অত্যাচারের ক্ষেত্রটির উল্লেখ এই কারনেই থাকছে যাতে পরবর্তীতে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যদি আদালতে মামলা করে এই আইন আটকাতে চায় তখন তা এই আইনের রক্ষাকবচ হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button