স্বাস্থ্য

করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক, অসতর্কতায় তাতেও বাড়ছে বিপদ!

করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক, অসতর্কতায় তাতেও বাড়ছে বিপদ!

করোনা আতঙ্কের জেরে বুধবার মধ্যরাত থেকে গোটা দেশে ২১ দিনের জন্য লক ডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ১৮০ জন। এ পর্যন্ত ২২,১৬৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১৮ আর মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।

এই ভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা এখনও আবিষ্কার হয়েনি। তাই সারা বিশ্ব এখনও ফেস মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপরেই অনেকটা নির্ভরশীল। কিন্তু ফেস মাস্ক আমাদের কতটা সুরক্ষা দিতে পারছে এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুরক্ষা দেওয়া তো পরের কথা, বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই মাস্কেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ! বিষয়টা একটু খুলেই বলা যাক।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, সমস্যাটা মাস্কে নয়, এটি ব্যবহার করার পদ্ধতিতে রয়েছে। তাছাড়া কাদের মাস্ক পরা জরুরি, কখন মাস্ক পরা জরুরি— এই বিষয়গুলিও মাথায় রাখতে হবে। যেমন, চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের N95 মাস্কের প্রয়োজন। কারণ, তাঁরা বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন রকম রোগীদের সংস্পর্শে আসেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটান।

কাদের, কোন ধরনের মাস্ক পরা জরুরি:

১) সাধারণ মানুষ বেশিক্ষণ N95 মাস্ক পরে থাকতে পারবেন না। কারণ, এতে তাঁদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে।

২) সার্জিক্যাল মাস্ক পরে করোনা ভাইরাস ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে যাঁদের সর্দি, হাঁচি-কাশি হয়েছে তাঁরা নিজের জন্য নয়, অন্যের শরীরে যাতে কোনও রকম সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সার্জিক্যাল মাস্ক পরতে পারেন।

৩) যে ব্যক্তি কোনও রকম সংক্রমণের ফলে হাঁচি-কাশি দিচ্ছেন, তিনি যেমন ফেস মাস্ক ব্যবহার করবেন, তেমনই যে বা যাঁরা ওই ব্যক্তির কাছাকাছি রয়েছেন তাঁদেরও ফেস মাস্ক ব্যবহার উচিৎ।

৪) ব্রঙ্কাইটিশ, হাঁপানির মতো সমস্যা যাঁদের রয়েছে, যাঁদের জ্বর, সর্দি-কাশি হয়েছে তাঁদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ।

সুত্র : ২৪ ঘন্টা

আরও পড়ুন ::

Back to top button