রাজ্য

২০ দিনে ২০০-র বেশি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে, মোট আক্রান্তের ৪৫ শতাংশ ছ’টি শহরে: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

২০ দিনে ২০০-র বেশি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে, মোট আক্রান্তের ৪৫ শতাংশ ছ'টি শহরে: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

 

গত ২ এপ্রিলের সাংবাদিক বৈঠকে আশাব্যঞ্জক পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। বলেছিলেন দেশের ৭৩৬টি জেলার মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে ২১১টি জেলায়। মাঝে মাত্র ২০টি দিন। এর মধ্যেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়াল ২০০-র বেশি জেলায়। বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে, দেশে এখন করোনা সংক্রামিত জেলার সংখ্যা ৪৩০টি।

অর্থাত্‍ ২ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে নতুন করে ২১৯টি জেলায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে বুলেটিন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিশ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছে। কোভিড পজিটিভের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৪৭১। মৃত্যু হয়েছে ৬৫২ জনের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, মোট আক্রান্তের ৪৫ শতাংশ দেশের ছ’টি বড় শহরের। এর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে মুম্বই। বাণিজ্য নগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে করোনা পজিটিভ ২০৮১, আমদাবাদে ১২৯৮, ইন্দোরে ৯১৫, পুণেতে ৬৬০ এবং রাজস্থানের জয়পুরে ৫৩৭ জন। কয়েকদিন আগেই দেশের মেট্রোসিটিগুলিকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

সেই তালিকায় ছিল কলকাতাও। কিন্তু কলকাতার সংক্রমণ এই মাত্রায় নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে অনেক ধীর গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। লকডাউনের ফলেই এটা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। গত সোমবার লব আগরওয়াল বলেছিলেন, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়ও বেড়েছে। লকডাউনের আগে ৩.৪ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল আক্রান্তের সংখ্যা।

কিন্ত এখন সেটা হচ্ছে ৭.৫ দিনে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সেখানে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৫২২১ জন। যা দেশের মোট আক্রান্তের চার ভাগের এক ভাগ। ছটি অতি স্পর্শকাতর শহরের মধ্যে দুটি মহারাষ্ট্রের। মুম্বই এবং পুণে। তা ছাড়া মৃত্যুও বেশি মারাঠা মুলুকে। করোনায় এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ৬৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ২৫১ জন।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button