রাজ্য

করোনা চিকিত্‍সায় কোনো বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্পষ্ট জানান মুখ্যসচিব !

করোনা চিকিত্‍সায় কোনো বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্পষ্ট জানান মুখ্যসচিব !

 

ওয়েবডেস্ক : সরকারের কাছে অভিযোগের পাহাড় জমছিল। করোনা চিকিত্‍সায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ তুলছিল রোগীর পরিবার। তা হল এক, অতিরিক্ত বিল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবং দুই, অনেক হাসপাতাল রোগীদের ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে।

গোটা বিষয়টি নিয়ে বুধবারের সাংবাদিক সম্মেলনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিদের ডেকে সরকারের তরফে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রোগীর পরিবারের উপর বাড়তি আর্থিক বোঝো চাপানো যাবে না।

এবং মুখ্যসচিব এও বলেন, কত কোভিড বেড ফাঁকা আছে তা বেসরকারি হাসপাতালকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ওয়েবসাইটে আপডেট করতে হবে এবং হাসপাতালের বাইরে ডিসপ্লে করতে হবে। যাতে রোগীর পরিবার বুঝতে পারে। এদিন ২৫টি বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন নবান্ন সভাঘরে। বৈঠকের শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।

সেখানেই তিনি বলেন, ওঁদের সবাইকে বলা হয়েছে বাড়তি বিল না চাপাতে। সমস্যা সবার রয়েছে। এই সময়ে মানবিক হতে হবে। প্রতিটি রোগীর থেকে চিকিত্‍সকদের পিপিই বাবদ রোজ টাকা ধার্য করা হবে, এটা হতে পারে না। বলে রাখা ভাল, কোভিড চিকিত্‍সার জন্য রাজ্য সরকার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালকে ব্যবহার করছে।

সেখানে যাঁদের চিকিত্‍সা চলছে সেই খরচ সরকারই বহন করছে। তা বাদ দিয়ে যে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিত্‍সা চলছে এদিন তাদের প্রতিনিধিদেরই ডাকা হয়েছিল। এদিন মুখ্যসচিব জানান, কোন সরকারি হাসপাতালে কত বেড খালি আছে সেই তথ্য এগিয়ে বাংলা ওয়েবসাইটে ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট করা হবে।

যাতে রোগীর পরিবার আগে থেকেই বিষয়টিতে অবগত থাকে। নবান্নের তরফে আরও বলা হয়, বেড থাকলে কোনও ভাবেই রোগীদের ফেরানো যাবে না। মুখ্যসচিব বলেন, আমরা হাসপাতালগুলিকে বলেছি।

ওঁরা বলেছেন রোগী ফেরাবেন না। সেইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির উদ্দেশে রাজ্য সরকার স্পষ্ট বলেছে, কোনও কর্মীর মাইনে কাটা যাবে না। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যাঁদের মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাঁদের হাসপাতালের পরিবর্তে সেফ হাউসে রাখা হবে।

রাজ্য সরকার ১০৪টি সেফ হাউস করছে। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি হাসপাতালে বেডের সংকট তৈরি হয়েছে? ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এদিন মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি মিলয়ে রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার ১০০ বেড রয়েছে। তার মধ্যে এখন ৮০ শতাংশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button