স্বাস্থ্য

জেনে নিন কটন বাড ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক

জেনে নিন কটন বাড ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক

কান পরিষ্কার করতে কটন বাড ব্যবহার করেন বেশিরভাগ মানুষ। নরম এই বাডগুলো আমাদের কানে আরাম দিলেও আসলে তা মারাত্মক ক্ষতিকর। সম্প্রতি মার্কিন চিকিৎসক ক্রিস্টোফার চ্যাং এই অভ্যাসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কান পরিষ্কারের জন্য বাডের উপর নির্ভর করার স্বভাব নিয়ে সম্প্রতি একটি মেডিক্যাল ওয়েবসাইটে সচেতনও করেছেন তিনি। তার মতে, কানের ভিতরের তরুণাস্থিগুলো এই বাডের আঘাতে নষ্ট হয়। ফলে শ্রবণশক্তি দুর্বল হওয়ার সঙ্গে পর্দার ক্ষতি হয়। অকালে চলে যেতে পারে শ্রবণক্ষমতাও।

কানের বাড ও তার ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি সমীক্ষা চালায়। তাতে দেখা যায়, কানে নরম বাড ব্যবহার করার কারণে প্রতি বছর গোটা দুনিয়ায় মারা যান প্রায় সাত হাজার মানুষ। বিশ্বের লোকসংখ্যার নিরিখে এ সংখ্যা নগণ্য হলেও ভয়টা অন্যত্র। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ এই অভ্যাসের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে অবগত। প্রায় ২৯ শতাংশ মানুষ জেনেশুনে কানের বাড ব্যবহার করে কানের পর্দার নানা ক্ষতি করেছেন।

Read More : চুল স্ট্রেট করার এই ৫ সাইড এফেক্টে একবার চোখ রাখুন

কানে যেটুকু নোংরা জমে তা শরীরের স্বাভাবিক কম্পন, হাঁচি-কাশি, স্নান, ঘুম ইত্যাদি শারীরবৃত্তীয় কাজে বার হয়ে যায়। এর বাইরেও কানে ময়লা রয়েছে এবং তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন- এই ধারণাটাই আসলে ভুল। কানের ভিতরের আঠালো পদার্থ আমাদের কানের জন্য ভালো। তা কানের পর্দাতে বাইরের সংক্রমণ ও ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। তাই তাকে জোর করে খুঁচিয়ে টেনে বার করার কোনো অর্থই নেই।

শরীর একটি নির্দিষ্ট ওজনের পর আর ময়লা নিজের ভিতরে রাখে না, তাকে নানা জৈবিক উপায়ে বের করে দেয়। সুতরাং কানের ভিতরের ময়লাকে ইয়ার বাড দিয়ে খোঁচানো যত কমবে ততই ভালো থাকবে কান। এই অভ্যাসের কারণে অকালে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলাও আশ্চর্যের নয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button