কলকাতা

ভাড়া বাড়ি ছেড়ে একদম ফ্রীতে ১২ কামরা রাজকীয় ফ্ল্যাটে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ !

ভাড়া বাড়ি ছেড়ে একদম ফ্রীতে ১২ কামরা রাজকীয় ফ্ল্যাটে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ !

 

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, নার্সিংহোমের মালিক,প্রমোটার এর সাথে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বন্ধুত্ব। গোপন কিছু ভাড়াবাড়ি ছেড়ে বিনা ভাড়ায় ১২ ঘরের ফ্ল্যাটে উঠে গেলেন দিলীপ ঘোষ। ফের বাড়ি বদলালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এ বার বদলটি চোখে পড়ার মতো। কারণ সল্টলেকের ভাড়াবাড়ি ছেড়ে নিউ টাউনে তাঁর এই নতুন ঠিকানায় অন্তত ১২টি থাকার ঘর ছাড়াও একাধিক রান্নাঘর, খাবার ঘর এবং একটি বড় বৈঠক-কক্ষ আছে বলে জানা গিয়েছে। দিলীপবাবু সেখানে থাকবেন বিনা ভাড়ায়।

সৌজন্য, শহরের এক নার্সিংহোম মালিক। যে আবাসনে দিলীপবাবু গিয়েছেন, সেটিরও প্রোমোটার ওই ব্যবসায়ী।বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে দিলীপবাবু প্রথমে থাকতেন বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরের কাছে কাদাপাড়ায়। সেখান থেকে নিউ টাউনের একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে।

আরও পড়ুন : সত্যবাদী’ দিলীপকে ধন্যবাদ ফিরহাদের! বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া তরজা

তার পর সল্টলেকে। সেখানেও পরপর দু’বার ঠিকানা বদলান তিনি। সর্বশেষ তিনি সল্টলেকের যে ভাড়াবাড়িটিতে থাকতেন, সেটি সিএল ব্লকে।নিউ টাউনের বিপুলায়তন ফ্ল্যাটে উঠে যাওয়ার বিষয়ে দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘সল্টলেকের বাড়িতে জায়গার অভাব হচ্ছিল।

তা ছাড়া বাড়িটিতে বিদ্যুতের বাণিজ্যিক সংযোগ থাকায় বিলও বেশি আসছিল।’’ বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা, দিলীপবাবুর সঙ্গে ১৮ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। সল্টলেকের বাড়িতে ৩টি ঘরে তাঁদের স্থান অকুলান হচ্ছিল। এখন ১২ কামরার ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকতে পারবেন।

নিউ টাউনের নয়া ঠিকানায় দিলীপবাবু গিয়েছেন সোমবার। আবাসনটি জোতভীম এলাকায়। দিলীপবাবুর ফ্ল্যাট ছ’তলায়। সূত্রের খবর, ওই আবাসনের নির্মাতা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী তথা নার্সিংহোমের মালিক নিজে ছ’তলার ওই ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন।

আরও পড়ুন : রাইফেল হাতে দিলীপ ঘোষ, লকডাউনের বন্দিজীবনে টার্গেট প্র্যাক্টিস

এখন সেখানে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এক জন ব্যবসায়ী বিনা ভাড়ায় এই বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন।’’এ দিকে, দিলীপবাবুর বাড়ি বদলের পরেই আবাসনটির প্রোমোটার হিসেবে ওই ব্যবসায়ীকে নোটিস পাঠিয়েছে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ। নোটিসে তাঁকে কাল,

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় আবাসনের নকশা এবং জমির কাগজপত্র নিয়ে দফতরের এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। নোটিস সর্ম্পকে অবশ্য ওই ব্যবসায়ীর বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে বিজেপির এক নেতার প্রশ্ন, ‘‘আবাসনটি তো আজ নতুন তৈরি হয়নি। হঠাৎ দিলীপবাবু সেখানে যাওয়ার পরেই এই নোটিস পাঠানো হল কেন, সেটা বড় প্রশ্ন।’’

 

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button