ঝাড়গ্রাম

প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে আসবাব তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার, ইউনেসকো-র পুরস্কার পেলেন ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী

প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে আসবাব তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার, ইউনেসকো-র পুরস্কার পেলেন ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য ইউনেসকো-র ‘লিডারশিপ অ্যান্ড এক্সেলেন্স অ্যাডয়ার্ড পেলেন ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র এক ভারতীয় বিজ্ঞানী। প্লাস্টিক বর্জ্যকে ব্যবহার করে স্বল্প খরচে আসবাবপত্র তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানী শান্তনু ভৌমিককে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র শান্তনুবাবু তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী। প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে আসবাবপত্র, ছাদের টালি, রাস্তা বাঁধানোর টালি তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তিনি।

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামী দিনে শিল্প সম্ভবনার ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল বলে মনে করছে ইউনেসকো কর্তৃপক্ষ। শান্তনুবাবু জানালেন, তাঁর আবিষ্কারের বিষয়টি সম্প্রতি কলকাতার বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে জানতে পারে ইউনেসকো কর্তৃপক্ষ। এরপরে ইউনেসকোর তরফে শান্তনুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

[ আরও পড়ুন : চীন–পাকিস্তান সীমান্ত নজরদারিতে ভারতের নতুন ড্রোন ]

তাঁর মৈলিক আবিষ্কারের বিষয়টি স্বীকৃতি পাওয়ায় ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে খুশির হাওয়া। শান্তনুবাবু জানান, প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি জিনিসপত্রের শিল্প কারখানা তৈরি হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে আসবাব তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার, ইউনেসকো-র পুরস্কার পেলেন ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী

 

শান্তনুবাবুর সঙ্গে ঝাড়গ্রামের নাড়ির যোগাযোগ। তাঁর বাবা-মা ঝাড়গ্রাম শহরে থাকেন। শান্তনুবাবু একাধারে বিজ্ঞানী, শিল্পী, সুগায়ক ও অধ্যাত্মদর্শনের সুপণ্ডিতও। নিজের জীবনে বিজ্ঞান ও অধ্যাত্মবাদকে সমানভাবে মিলিয়ে দিয়েছেন এই সুপণ্ডিত বিজ্ঞানী।

বিদেশে গবেষণা ও বিপুল অঙ্কের বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি সাধিকা আম্মার ডাকে সাড়া দিয়ে অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। শান্তনুবাবুর দাদা হলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মহুল ব্যান্ডের পার্থ ভৌমিক।

[ আরও পড়ুন : নোটিশেই বায়ুসেনাকে তৈরি থাকার বার্তা দিলেন রাজনাথ সিং ]

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button