স্বাস্থ্য

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বাড়িতে রাখতে পারেন যেসব ব্যবস্থা

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বাড়িতে রাখতে পারেন যেসব ব্যবস্থা

লকডাউনের কারণে অনেকে অসুস্থ হলেও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। নানা হাসপাতাল করোনা সংমক্রমণের কারণে সাধারণ চিকিৎসাও দিচ্ছে না। এ কারণে অসুস্থ হলে অনেকে অনলাইন বা ফোনেই চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন। এ সময় জটিল কিছু না হলে কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। যেমন-

ফ্রিজে থাকা বরফ:
পোড়া, ছ্যাঁকা তো বটেই, অনেকসময় কোথাও আঘাত লাগলেও বরফ বেশ কাজে লাগে । এ কারণে এসময় ফ্রিজে বরফ সংরক্ষণ করুন। শরীরের কোন স্থান পুড়ে গেলে জল লাগানোর পরেই বরফ ঘষতে থাকুন আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায়। কোথাও আঘাত লাগলেও একই নিয়মে বরফ দিতে থাকুন। এতেই ব্যথা-পোড়া অনেকটা সারে। অনেক সময় বরফ ঘষার ফলে ফোস্কাও পড়ে না।

[ আরও পড়ুন : করোনা চিকিৎসার জরুরি ওষুধ আনল এই ভারতীয় সংস্থা, একটি ট্যাবলেটের দাম মাত্র ৩৫ টাকা ]

হট ও কোল্ডব্যাগ:
যে কোনও ব্যথা কমানোর জন্য অনেক সময় ঠান্ডা-গরম সেঁক নিতে হয়। তখন হট ও বোল্ডব্যাগগুলি বেশ কাজে লাগে। পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে বরফ ঘষার পর খানিক ব্যথা কমতে আরম্ভ করলে গরম আর ঠান্ডা সেঁক দিলে ব্যথা আরও অনেকটা কমে। ব্যথার ওষুধ খাওয়ার চেয়ে এই পদ্ধতির শরীরের জন্যও ভালো।

টুর্নিকেট ও গজ-তুলো:
কাটা-ছড়ার সমস্যায় টুর্নিকেট বেঁধে নিন ক্ষতস্থানে। টুর্নিকেট না পেলে পরিষ্কার কাচা সুতির কাপড় কাটা জায়গায় বাঁধলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে। এ ব্যবস্থাও এ সময় বাড়িতে রাখা প্রয়োজন।

[ আরও পড়ুন : যেসব অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে আপনার চোখ ]

অ্যান্টিসেপটিক ও পোড়ার ওষুধ:
জীবাণুনাশক সলিউশন ও অ্যান্টিসেপটিক কিছু ক্রিম কিনে রাখুন। পোড়া-কাটার মলম হাতের কাছে থাকলে প্রাথমিক সেবা-যত্নের পর তা লাগিয়ে নিন ক্ষতস্থানে। এতে প্রাথমিক বিপদ অনেকটা কাটবে।

কিছু ওষুধ:
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ সময় গ্যাস, বমি বা পেটের সমস্যার জন্য কিছু ওষুধ বাড়িতে সংরক্ষণ করুন । তবে এতে যদি সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। সেক্ষেত্রে পরিচিত কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়া বয়স্ক ও শিশুদের কোনো ওষুধ দেওয়ার আগেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। পাশপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদেরোগসহ অন্যান্য রোগীরা তাদের নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button