Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
প্রযুক্তি

বিজেপি-কে বাড়তি সুবিধের অভিযোগ খারিজ করল ফেসবুক

বিজেপি-কে বাড়তি সুবিধের অভিযোগ খারিজ করল ফেসবুক

গত শুক্রবার মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ব্যবসায়িক লাভের কথা মাথায় রেখে এক বিজেপি নেতার ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এই রিপোর্টকে সামনে রেখে বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে আক্রমণ হানেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বলেন, ভারতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি আরএসএস।

নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই মুখ খুলল ফেসবুক। জানিয়ে দিল, কোনও দলীয় রং দেখে ঘৃণা ছড়ানোকে প্রশ্রয় দেয় না তারা। অর্থাত্‍ ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিল তারা। ফেসবুকের তরফে মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, ‘আমরা ঘৃণা ছড়ানোর নিন্দে করি, সেটা যে কোনও রাজনৈতিক দল বা তাঁর যে কোনও রাজনৈতিক অবস্থান হোক না কেন।

এই ধরনের বার্তা আমরা ছড়াই না। গোটা বিশ্বজুড়ে এই ক্ষেত্রে আমাদের পলিসি একই রয়েছে। আমরা জানি এখনও কিছু কাজ বাকি, সেই কাজই করছি আমরা। যাতে আরও স্বচ্ছভাবে এই সোশ্যাল মিডিয়া চালানো যায়, সেই কাজই করা হচ্ছে।’ ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি বিষয়ক আধিকারিক আঁখি দাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ক্ষেত্রে স্টোন বলেন, ‘ফেসবুক কী পদক্ষেপ নেবে বা নেবে না, তা আঁখি দাসের বক্তব্যের উপর নির্ভর করে না।

[ আরও পড়ুন : মেয়েদের বিয়ের বয়েস কি বাড়তে চলেছে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর ]

তাই তিনি বললেই যে ফেসবুক কাউকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেবে তা নয়।’ রবিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের পেপার কাটিং টুইট করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভারতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি আরএসএস। শেষপর্যন্ত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সত্যিটা প্রকাশ করল।’ রাহুলের এ হেন আক্রমণের জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্করপ্রসাদ বলেন, ‘যাঁরা পরাজিত, যাঁরা মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাব তৈরি করতে পারেন না, এমনকি নিজেদের দলের মধ্যেও যাঁদের নিয়ন্ত্রণ নেই তাঁরাই শুধু ভাবেন সারা দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি আর আরএসএস।’

ওই প্রতিবেদনে একটি নির্দিষ্ট ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তেলেঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা প্রকাশ্যে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার কথা বলেছিলেন। সেই বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল দাবানলের মতো। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই হয়নি। কেন হয়নি তাও উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছ, ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি বিষয়ক আধিকারিক আঁখি দাস মূলত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

সেখানে বলা হয়, ‘টি রাজার বক্তব্য ছিল হিংসা ও উস্কানিতে ভরা। তবু ফেসবুক ব্যবস্থা নেয়নি। এটা এক ধরনের কেন্দ্রের শাসকদলের হয়ে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ।’ প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, ফেসবুকের পাবলিক পলিসি বিভাগের কর্মীরা আধিকারিককে স্পষ্ট করেই জানিয়েছিলেন, এই বক্তব্য তীব্র ঘৃণা ছড়াবে।

[ আরও পড়ুন : হবু স্বামীকে নিয়ে নতুন যে তথ্য দিলেন সানাই! (ভিডিও সংযুক্ত) ]

বিদ্বেষ রোধ আইনের আওতায় পড়ে এই বক্তব্য। কিন্তু তখনও নাকি আঁখি দাস কর্মীদের ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে থামিয়ে দেন। তিনি নাকি বলেছিলেন, কেন্দ্রের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রয়োগ করলে তা ভারতের বাজারে ব্যবসায়িক ক্ষতির সামনে দাঁড় করাতে পারে সংস্থাকে। এইসব অভিযোগই কার্যত উড়িয়ে দিল ফেসবুক।

 

সুত্র: THE WALL

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button