জাতীয়

মেয়েদের বিয়ের বয়েস কি বাড়তে চলেছে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

মেয়েদের বিয়ের বয়েস কি বাড়তে চলেছে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে সপ্তমতম ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই নারী ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে একাধিক বিষয়ে সামনে এনেছেন। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে মাত্র ১টাকায় স্যানেটারি ন্যাপকিন দেওয়ার কথা বলছেন। অন্যদিকে আবার মেয়েদের বিয়ের ন্যুনতম বয়স নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহিলাদের নিয়োগ ও স্বনিযুক্তির ক্ষেত্রে সমান অধিকার দিতে সংকল্পবদ্ধ দেশ। এখন দেশের মহিলারা যুদ্ধবিমান চালিয়ে আকাশ স্পর্শ করছেন। শনিবার লালকেল্লায় প্রায় একঘণ্টা ছাব্বিশ মিনিট ভাষণ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একাধিক বিষয়ে তাঁর বক্তব্যে জায়গা করে নিয়েছে।

মেয়েদের বিয়ের বয়স বদল প্রসঙ্গে মোদী জানান, ‘আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে মেয়েদের বিয়ের ন্যুনতম বয়স পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।

[ আরও পড়ুন : আজ দেশে করোনাভাইরাস টেস্টের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেল, মৃতের হার কমে ১.৯৩ শতাংশ ]

পাশাপাশি এও জানান, কন্যাশিশুদের অপুষ্টি কমাতে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। দেশে এখনও কন্যাশিশুরা বেশি অপুষ্টির শিকার বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদী একটাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।

ভারতে মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ব্রিটিশ আমলে ১৯২৯-এ সারদা আইনের মাধ্যমে ঠিক হয়েছিল। তখন মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছিল ১৪ ও ছেলেদের ১৮। ১৯৪০ ও পরে ১৯৭৮ সালে ওই আইনে বদল আনা হয়। ১৯৭৮ সালে বিয়ের ন্যুনতম বয়স মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ ও ছেলেদের ক্ষেত্রে হয় ২১।

মেয়েদের বিয়ের বয়েস কি বাড়তে চলেছে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

২০০৬ সালে সেই আইনের জায়গায় আসে বাল্যবিবাহ আইন প্রতিরোধ আইন। মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে তিন তালাক নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, যা নিঃসন্দেহে বড় সিদ্ধান্ত।

২০২০-২১ এর বাজেটভাষণে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

[ আরও পড়ুন : কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে এসে ফায়ারিং প্র্যাকটিস করেছিলেন ধোনি (ভিডিও) ]

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ব্যাপার একটি টাক্সফোরস গঠনের কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ছয় মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা পড়বে।নারীর ক্ষমতায়নে মোদী সরকারের ভাবনা এবং অবদানকেও এদিনের ভাষণে গুরুত্ব দিয়েছেন মোদী। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহিলাদের সবক্ষেত্রেই সমান অধিকার দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেশ।

 

সুত্র: কলকাতা24×7

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button