বিনোদন

সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু রহস্যের তদন্তভার এবার CBI-এর হাতে: সুপ্রিম কোর্ট

সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু রহস্যের তদন্তভার এবার CBI-এর হাতে: সুপ্রিম কোর্ট

সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, এই তদন্তে মহারাষ্ট্র সরকার ও পুলিশ সিবিআই-কে সহায়তা করবে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় বিহার পুলিশে কেকে সিং যে এফআইআর করেছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক। তাই এই আবেদনের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সরকার যে আবেদন করেছে তার যৌক্তিকতা নেই।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর জন্য অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে পাটনা পুলিশে এফআইআর করেন অভিনেতার বাবা কেকে সিং।সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, আর্থিক প্রতারণা, পরিবার থেকে অভিনেতাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া- রিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছিলেন সুশান্তের বাবা। এই মামলা স্থানান্তরের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রিয়া। সেই মামলাতেই বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

রিয়ার দাবি করেছিলেন বিহার পিলিশের এই মামলায় তদন্তের কোনও এক্তিয়ার নেই। এদিনের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, বিহার পুলিশের এইআইআর গ্রহণ ও তদন্তের ‘স্পষ্ট এক্তিয়ার’ রয়েছে। ‘জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় সুশান্তের বাবা টেলিফোনে ছেলের সঙ্গে কথা বলেত চেয়েছিলেন, কিন্তু অভিযুক্তরা তাঁকে কথা বলতে দেননি। কথা বললে হয়তো কেকে সিং ছেলের জীবন বাঁচাতে পারত। তাই এই মামলার কজ অফ অ্যাকশনের কিছুটা পাটনাতে হয়েছে। এই কারণেই পাটনা পুলিশের এইআইআর ও তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে’ বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

[ আরও পড়ুন : গোপনে বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ীর সঙ্গে আংটিবদল কাজলের? ]

আগেই অবশ্য সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই মামলায় সিবিআই তদন্ত হলে তাঁর তরফে কোনও আপত্তি নেই।

বিহার সরকারের তরফে আইনজীবী মনিন্দর সিং বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ জানিয়েছে যে, ‘বিহারে নয়, এই মামলার তদন্তে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। মুম্বই পুলিশ কোর্টে কোনও তথ্য জমা করেনি। তারা সহযোগিতা করছে না। এই মামলার তদন্তে তারা কীসে ভয় পাচ্ছে?’ তবে সিশান্ত মৃত্যু তদন্তে মহারাষ্ট্র সরকার ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মনিন্দর সিং ।

মহারাষ্ট্রের হয়ে আইনজীবী এএম সিংভি বলেছেন, ‘একবার নির্বাচন মিটে গেলেই এসব নিয়ে আর আলোচনা হবে না, এটা নিশ্চিত্‍ করেই বলা যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কীভাবে পরাভূত হচ্ছে এই মামলা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে।’ এএম সিংভি আদালতে বলেছেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিঘিকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

কেন্দ্রের হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা মুম্বই পুলিশের এফিডেবিট উল্লেখ করে জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই ৫৬ সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছে। রাজপুতের আত্মহত্যা করা নিয়ে তাদের কারোর মনে কোনও সন্দেহ নেই। মেহেতা বলেন, ‘এটির দ্বারা একটি সংস্থা এই পূর্বাভাসে পৌঁছেছে যে সুশান্ত মামলা আত্মহত্যার ঘটনা, ৫৬ জনের বয়ার রেকর্ড তুলে ধরে এখন সর্বোচ্চ আদালতে তা প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

 

সুত্র: The Indian Express বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button