দঃ ২৪ পরগনা

মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে তৃনমুলের হামলার শিকার বাবান ঘোষ ও বিজেপি কর্মীরা

মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে তৃনমুলের হামলার শিকার বাবান ঘোষ ও বিজেপি কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকাল খোদ কলকাতায় সোজা বিজেএমটিইউ এর অফিসে তুমুল ভাঙচুর। এমনকি খুনের হুমকি, অশ্রাব্য গালিগালাজ চললো দিলীপ ঘোষ এবং বাবান ঘোষের মতো নেতৃত্ব দের উপর, বেশ কিছুক্ষন তৃণমূলের দুষ্কৃতী দের। ঘটনা একশো এক নাম্বার ওয়ার্ড যাদবপুর সেন্ট্রাল এর।

গতকাল বিকেল বেলা লোকাল কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্ত দাস গুপ্ত যিনি তৃণমূলের নেতা এবং মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সম সমাদর পেয়ে থাকেন, তারই কয়েকজন পোষা সশস্ত্র গুন্ডা স্থানীয় রাজু দাস বলে এক তৃণমূল কর্মীর নির্দেশে সন্ত্রাস চালান বিজেপি নেতা বাবান ঘোষের কাজকর্মের অফিসে। অবশ্য তাদের উদ্যেশ্য শুধু ভাঙচুর বা শাসানোর ছিলোনা বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিদ্যাকে পাশে পেলেন রিয়া

ওই সময় ওই মুহূর্তে ওই অফিসে থাকার কথা ছিল রাজ্য বিজেপির এই মুহূর্তে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মুখ গুলোর একজন যিনি, সেই বাবান ঘোষই। আজ এখানে থাকলে হয়তো খুন করা হতে পারতো তাকে।

কারণ দুষ্কৃতী রা পার্টি অফিস আক্রমণ করে তুমুল ভাঙচুর ও গুরুত্বপূর্ণ নথি লুঠ করার সাথে সাথে খোঁজ নিচ্ছিলেন বাবান ঘোষএর। তাকে পৃথিবী থেকে সরানোর কথাও বলছিলো তারা, বারবার জানান এক বিজেপি কর্মী। কিন্তু বাবান ঘোষ বর্তমানে আছেন দিল্লীতে।

মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে তৃনমুলের হামলার শিকার বাবান ঘোষ ও বিজেপি কর্মীরা

বেঙ্গল এক্সক্লুসিভ এর পক্ষ থেকে যখন বাবান ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন তিনি জানান যে তিনি একটা দলীয় কাজে দিল্লী গেছিলেন। কাল ভোরে তার ফেরার কথা ছিল কলকাতায় । অবশ্যই আজ রাতে ফিরে তিনি নিজস্ব অফিসেই কাজকর্ম দেখতেন। তার আসার খবর কোনো ভাবে পেয়ে গিয়েছিলো তৃনমূলের দুষ্কৃতী রা। কিন্তু একটি মিটিং এ তিনি থাকতে বাধ্য হন দিল্লীতে।সেই সঙ্গে এই বর্বর আক্রমণের থেকেও বাঁচেন ভগবান রামের আশীর্বাদ এবং রাজ্যের মানুষের ভালোবাসার জন্য।

বাপ্পাদিত্ত দাস গুপ্তর পাঠানো দুষ্কৃতী বর্গ হয়তো ভেবেছিলো আজই তাকে পাওয়া যাবে তার অফিসে। সেই মতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতির সাথেই এসেছিলো তারা। ঘটনাটা হয়ে গেলো মহাভারতে যুদ্ধের শেষ দিকে দুর্যোধনের নেতৃত্বে কৌরব দের যেকোনো প্রকারে পান্ডব দের মারার জন্য রাতে নিয়ম ভেঙে পান্ডব দের সৈন্য শিবিরে আক্রমণ করার মতো।

আরও পড়ুন : ফটোসাংবাদিকদের জন্য হাত বাড়ালেন শ্রদ্ধা কাপুর

কিন্তু সৌভাগ্য বশত সেদিন পাণ্ডবরা শিবিরে ফেরেননি। কুরুক্ষেত্রের মাঠেই রাত কাটিয়ে ছিলেন তারা। যে কারণে ব্যর্থ হতে হয় দুষ্ট কৌরব দের। বাংলাতেও সামনেই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের শেষ ঘনিয়ে আসছে! হয়তো সেই আশঙ্কা ঠাওর করতে পারছেন রাজ্যের কৌরব বর্গ।

মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে তৃনমুলের হামলার শিকার বাবান ঘোষ ও বিজেপি কর্মীরা

সেকারণেই এতো মরিয়া হয়ে যুদ্ধের, মানবতার, রাজনীতির সমস্ত নিয়ম ভেঙে একের পর এক অন্যায় আক্রমণে উদ্ধত তারা। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে আর কতদিন, বাবান ঘোষের মতো মর্যাদা সম্পন্ন নেতার ওপর যে ভবিষ্যতেও হামলা করবেনা বাপ্পাদিত্যর লোকজন তার কোনো নিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছেনা।

আগামী দিনে হয়তো আরো বড় আক্রমণ, আরো আট ঘাঁট বেঁধে মাঠে নামবে দুষ্কৃতীরা। সেইদিক থেকে কেন্দ্র বিজেপির কি বাবান ঘোষের মতো উচ্চ পর্যায়ের নেতার নিরাপত্তার সামান্য দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয় এবারে। তার মতো ভবিষ্যতে বিজেপির উজ্জ্বল রাজনীতির নক্ষত্র দের আর কত বার প্রাণ ঘাতী ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button