ওপার বাংলা

মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

মিন্নিসহ ৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথরেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। রোববার সকালে বরগুনা কোর্টের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর পিকু রিফাত হত্যা মামলার বিভিন্ন নথিসহ ডেথরেফারেন্স নিয়ে আসেন হাইকোর্টে।

নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায় হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন।

মূলত কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। তবে দণ্ডিতরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল ও আপিলের সুযোগ পাবেন।

ডেথ রেফারেন্স এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিজ থেকে আপিল না করলেও আইনের বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্সের ওপর উচ্চ আদালতে শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়। বিচারিক আদালতের রায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উচ্চ আদালত প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।

আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন, তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন, যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।

ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। এরপর মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয় বলে ধরে নেয়া হয়। তবে আলোচিত কোনো কোনো মামলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন: রিফাত হত্যায় ১০ আসামির কার কী ভূমিকা ছিল

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেন আদালত। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button