জঙ্গলমহলকে ফের অশান্ত করার ছক হচ্ছে, আমি তা হতে দেব না: মুখ্যমন্ত্রী
![জঙ্গলমহলকে ফের অশান্ত করার ছক হচ্ছে, আমি তা হতে দেব না: মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলকে ফের অশান্ত করার ছক হচ্ছে, আমি তা হতে দেব না: মুখ্যমন্ত্রী](http://westbengalnews24.com/wp-content/uploads/2020/10/Mamata_Banerjee_PTI_Photo.jpg)
‘অনেক কষ্ট করে রক্তাক্ত জঙ্গলমহলকে শান্ত করেছি। অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ফের মাওবাদীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে। কেউ কেউ টাকা দিয়ে তাদের সাহায্য করছে। কোনওমতেই জঙ্গলমহলকে আবার অশান্ত হতে দেব না।’ জঙ্গলমহলের জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে হুঁশিয়ার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসন-পুলিশকে নির্দেশ দিলেন কারা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে তা দেখে কড়া ব্যবস্থা নিতে। বুধবার নিজের কথা রেখে মাও হামলায় নিহত চার জনের পরিবারের সদস্যকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা। সেইসঙ্গে আদিবাসী মাহাতো-কুরমি-লোধা-শবর জনজাতির উদ্দেশে মমতার আহ্বান, ‘যা বলবেন সব করে দেব। কিন্তু আমাকে ভুল বুঝবেন না। মা-মাটি-মানুষের সরকারের পাশে থাকুন।’
প্রসঙ্গত, এদিন মমতার নিশানায় ছিল বিজেপি। নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘আজকে সারা দেশে আদিবাসী-দলিতরা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত। আমি সবাইকে মানুষ হিসাবে মনে করি। সম্মান দিই। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য আমার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।’
এরপরই তিনি পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আমি খবর পাচ্ছি, ‘আবার মাওবাদীদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে রক্তাক্ত জঙ্গলমহলকে শান্ত করেছি। অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। কোনওমতেই জঙ্গলমহলকে আবার অশান্ত হতে দেব না।’
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়তি নজর, প্রাপ্তির আশায় জেলাবাসী
মুখ্যমন্ত্রী এও অভিযোগ করেন, ‘বাইরে থেকে লোক এসে অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্র করছে। মুম্বই থেকে লোক আসছে টাকা নিয়ে। এখানকার গেস্ট হাউস গুলো ভাড়া নিচ্ছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন না?’ অবৈধ বালি পাচার নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রামের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ শুনেই রণমূর্তি ধারণ করেন মমতা।
পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, ‘বারবার কেন বলতে হয় এক কথা! কতবার বলেছি যারা এসব কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করুন। কাদের এত ইন্টারেস্ট! স্ট্রং অ্যাকশন নিন। প্রয়োজনে কয়েকজনকে অ্যারেস্ট করুন। তবে শিক্ষা পাবে। যে কেউ এসব কাজ করবে তাদের কাউকে ছাড়ব না।’
রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পথশ্রী প্রকল্পের কাজে বাধা দেবেন না। টেন্ডার নিয়ে কোনও গন্ডগোল যেন না হয়। সব পঞ্চায়েত, সব রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বলছি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কেউ টাকা চাইলে সোজা থানায় যান।
সরকার জনগণের। কোনও রাজনৈতিক দলের নয়।’ এদিনও আদিবাসীদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প, সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাঁওতাল অ্যাকাডেমির জন্য ১ কোটি টাকা এবং তিনটি মন্দির সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন।
সুত্র: The Indian Express বাংলা