Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
স্বাস্থ্য

চায়ের সাথে হলুদ খাওয়ার খুবই উপকারি

চায়ের সাথে হলুদ খাওয়ার খুবই উপকারি
প্রতিকি ছবি

আমরা সবাই কমবেশী চা খাই। কেউ লাল চা, কেউ দুধ চা! কিন্তু কখনও হলুদ গুঁড়া দিয়ে বানানো চায়ের স্বাদ পরখ করে দেখেছেন কি? অনেক উপকারী এই হলুদ চা দেহের মারাত্মক সব রোগ সারাতে বেশ কার্যকরী। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, চায়ে অল্প হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খেলে শরীরের অন্দরে এমন পরিবর্তন হতে শুরু করে যে কোনও রোগই আক্রমণের সাহস পায় না। তাই সকালের চায়ের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

যেভাবে বানাবেন হলুদ চা : প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপের একটু বেশি পরিমাণ পানি নিয়ে গরম করুন। এবার গরম পানিতে অল্প পরিমাণে (এক চিমটে) হলুদ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর এটিকে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার ছেঁকে নেওয়া পানিতে গোলমরিচ, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। ব্যস, হলুদ চা তৈরি। তবে এটাকে অনেকে চা না বলে হলুদ পানীয়ও বলে থাকে।

কাঁচা হলুদের উপকারিতা:

১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : হলুদ দিয়ে বানানো চা খেলে শরীরের অন্দরে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সুস্থ থাকতে পারবেন।

২) দৃষ্টিশক্তি ভালো হয় : দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সহায়তাকারী উপাদান হলুদ। হলুদ চায়ে পাওয়া যাচ্ছে হলুদের এই উপকারী উপাদান, যা চোখের রেটিনাকে রক্ষা করে। ফলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ভয় থাকে না।

আরও পড়ুন: যে ৪ ঘরোয়া পদ্ধতি পায়ের সৌন্দর্যে বাড়াতে পারেন

৩) আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমে : সকাল-বিকাল মিলিয়ে দু-কাপ হলুদ চা পান করলে হলুদে থাকা কার্কিউমিন শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে জয়েন্ট পেন ও যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪) খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায় : হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন রক্তে জমতে থাকা কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

৫) ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে : ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ, শরীরে যাতে ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৬) হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত হলুদ দিয়ে বানানো চা খেলে হার্টে রক্ত সরবরাহকারি আর্টারিদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার বা হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, স্ট্রোকের মতো মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতেও হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হার্টকে যদি দীর্ঘদিন চাঙ্গা রাখতে চান, হলুদ দিয়ে বানানো চা খান।

৭) হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় : বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক, হলুদে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান পাকস্থলিতে থাকা উপকারি ব্যাকটেরিয়ার শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে বদ-হজম দূরে পালায়।

আরও পড়ুন: করোনাকে প্রতিরোধে খাদ্য তালিকায় যা রাখবেন

৮) স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে : হলুদে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান শরীরে থেকে বের করে ব্রেন সেল ড্যামেজের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে কার্কিউমিন মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৯) ত্বক উজ্জ্বল করে : নিয়মিত হলুদ চা পান করলে ত্বক দীর্ঘদিন তার উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button