শোভন-সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বারে যেতেই বদলি বৈশাখীর!
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।২৪ ঘণ্টার মধ্য তাঁকে মিলি আল আমিন থেকে বদলি করা হল রামমোহন কলেজে। এই বদলি মানতে নারাজ বৈশাখী, তাঁর মতে এটা শাস্তি, রাজরোষে পড়েছেন তিনি। এবার কি তবে আইনি লড়াই, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চান বৈশাখী।
এ দিন নিউজ ১৮ বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে ক্ষোভ উগড়ে দেন বৈশাখী। তিনি বলেন, “আমার কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ দুঃসহ হয়ে উঠেছে এটা শিক্ষা দফতরে অসংখ্য বার জানিয়েছিলাম।
জুন মাসে এমন পরিস্থিতি হয় আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। কিন্তু তখন বিহিত করা হয়ি। গতকাল মাননীয় ফিরহাদ হাকিম সাহেবে বিরুদ্ধে আঙুল তোলাতেই আজ বিকাশভবন খুলিয়ে আমার ট্রান্সফার ইস্যু করা হল।”
আরও পড়ুন: অনুব্রতর বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক সিদ্দিকুল্লা
বৈশাখী এই পদক্ষেপকে দেখছেন কেরিয়ার শেষ করার একটি চেষ্টা হিসেবে।তাঁর কথায়, তিনি রাজরোষে পড়েছেন। প্রসঙ্গ ক্রমে শোভন চট্টোপাধ্যেয়র তুলনা টেনে আনেন বৈশাখী। তাঁর কথা শোভনকে শোভনের দফতর ছাড়তে হয়েছিল। আমাকেও আমার কলেজ ছাড়তে হবে।
কিন্তু বৈশাখী তো পদত্যাগই করেছিলেন, বদলিতে তাঁর আপত্তিটা কোথায়? বৈশাখীর যুক্তি, এখন এই বদলির অর্থ হল দীর্ঘদিন চলে আসা অব্যবস্থার জন্য তাঁকে দায়ী ঠাওরানো। তা হলে বৈশাথীর পদক্ষেপ কী? বৈশাখী বলছেন, এখনই নয়, ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে কথা বলে, তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবেন।
বৈশাখী এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এক হাত নেন। তাঁর কথায়, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানতাম রঙের ঊর্ধ্বে। তিনি শিক্ষকদের কথা সহৃদয় ভাবে শোনেন। কার নির্দেশে তিনি আমাকে এই কলেজ থেকে সরিয়ে দিলেন জানি না।” বৈশাখী জানাচ্ছেন, তিনি নতুন কাজের জায়গায় যোগ দেবেন না।
সুত্র: নিউজ ১৮ বাংলা