ঝাড়গ্রাম

বঙ্গধ্বনি যাত্রায় চাষির ধান ঝেড়ে, মাঠে ফুটবল খেলে ছত্রধরের জনসংযোগ

স্বপ্নীল মজুমদার

বঙ্গধ্বনি যাত্রায় চাষির ধান ঝেড়ে, মাঠে ফুটবল খেলে ছত্রধরের জনসংযোগ

ঝাড়গ্রাম: বঙ্গধ্বনি যাত্রায় গিয়ে মাঠে নেমে এলাকার যুবকদের সঙ্গে ফুটবল খেললেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী নিয়তিকে সঙ্গে নিয়ে ধান ঝাড়লেন।

এভাবেই নিবিড় জনসংযোগে মানুষের মন জিতে নিলেন তিনি। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার লোধাশুলি এলাকায় বঙ্গধ্বনি যাত্রায় গিয়েছিলেন ছত্রধর ও নিয়তি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেখা সরেন, ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নরেন মাহাতো, লোধাশুলি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দেবব্রত সাহা, ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লক যুব সভাপতি অশোক মাহাতো প্রমুখ। এদিন সকালে শুকনাখালি গ্রামে বাসিন্দাদের বাড়ি–বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেন ছত্রধর।

আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রাম শহরে তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি যাত্রা

এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শুনে প্রতিকারের আশ্বাস দেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ অভিযোগ করেন, বয়স্কদের কেউ কেউ বার্ধক্য ভাতা পাননি, কেউ আবার আবাস যোজনার বাড়ি পাননি। স্থানীয় ইমাম একটি মাদ্রাসা চালুর দাবি করেন। শুকনাখালি গ্রামে সাবির আলির বাড়িতে ঢুকে ছত্রধর দেখেন ওই ব্যক্তি পা চালিত মেশিনে ধান ঝাড়ছেন। ছত্রধর তাঁকে বলেন, ‘‘আমিও চাষার বেটা। দাও কেমন ধান ঝাড়তে হয় দেখাচ্ছি।’’ এরপরে ছত্রধর বেশ কয়েক আঁটি ধান ঝাড়েন। রাজ্য সম্পাদকের এমন কাণ্ড দেখে কৌতুহলি লোকজন ভিড় করেন।

নিয়তি আবার ওই গৃহস্থের উঠোনও ঝাঁট দেন। এরপরে গোলবাঁধি গ্রামেও যান ছত্রধর। সেখানে পথসভা করেন। বিকেলে লোধাশুলিতে স্থানীয় যুবক ও কিশোরদের ফুটবল খেলতে দেখে মাঠে নেমে পড়েন ছত্রধর। বেশ কিছুক্ষণ ফুটবল খেলেন। পরে হেসে রাজ্য সম্পাদক বলেন, লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন বহু ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলেছি। আমার বড় ছেলে ধৃতিও ভাল ফুটবল খেলে।’’

আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামে রক্ত দিয়ে মানুষের পাশে টিএমসিপি

বঙ্গধ্বনি যাত্রায় গিয়ে জেলা তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। রবিবার লালগড়ের রামগড় অঞ্চলের আউলিয়া গ্রামে এক বাসিন্দার বাড়ির দাওয়ায় বসে মুড়ি খেয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেব, শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায়। রবিবার লালগড় ব্লকের রামগড় অঞ্চলের আউলিয়া গ্রামে বঙ্গধ্বনি যাত্রায় গিয়েছিলেন মাধবী সহ জেলা তৃণমূলের নেতারা।

আউলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করেন তাঁরা। আউলিয়া গ্রামের এক বৃদ্ধা এখনও বার্ধক্যভাতা পাননি। ওই বৃদ্ধার তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। জনসংযোগও শুরু করে দেন প্রশান্ত রায়। ওই বৃদ্ধার কাছে মুড়ি চেয়ে খান প্রশান্ত। বৃদ্ধা এক থালা মুড়ি এগিয়ে দেন। মাধবী সহ সকলেই মুড়ি খান। আপ্লুত হন ওই বৃদ্ধা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button