রাজনীতিরাজ্য

দল ছাড়তেই শুভেন্দুকে বিঁধলেন কল্যাণ-সৌগত!

দল ছাড়তেই শুভেন্দুকে বিঁধলেন কল্যাণ-সৌগত!

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলের সব বাঁধন ঘুচিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এবার তাঁর রাজনৈতিক জীবনের এক নয়া ইনিংস শুরুর পথে পা বাড়ালেন। সম্ভাব্য ঠিকানা অবশ্যই গেরুয়া শিবির।

তবে তিনি নিজে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে যে ভাবে বিজেপির নেতারা প্রকাশ্যে শুভেন্দুর প্রশংসা করছেন, তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন বা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাঁকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে তাতে স্পষ্ট নন্দীগ্রাম গণআন্দোলনের নেতার বিজেপিতে যোগদান এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

তবে তাঁর তৃণমূল ত্যাগের ঘটনা ভালো ভাবে নেয়নি জোড়াফুল শিবির। তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌগত রায়। তবে লক্ষ্যণীয় ভাবে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

এদিন দুপুরে কাঁঠি থেকে কলকাতায় এসে রাজ্য বিধানসভা ভবনে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিধানসভার সচিবের হাতে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি বিধানসভা ভবন ছেড়ে বেড়িয়ে যান।

একই রকম ভাবে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালিঘাটের বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দিয়ে তিনি দলের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেন। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমে মুখ খোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরে সৌগত রায়। কল্যাণবাবু বলেন, ‘সব ভোগ করার পর এখন ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘রাত জেগে কাটমানির কালো টাকা লুকিয়ে রাখেন তৃণমূল নেতারা: সায়ন্তন বসু

দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। এরকম যতজন চলে যেতে চাইবে যাক। যত তাড়াতাড়ি যায় ততই ভাল।’ আবার সৌগতবাবু জানান, ‘শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতকতা করল। আমাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিল। কিন্তু পরে বলে দেয় একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।

জানি, ও বিজেপির সঙ্গে কথা বলেছে। পদ পাওয়ার আশ্বাস পেয়েই চলে গিয়েছে।’ তবে জিতেন্দ্র তেওয়ারি সরাসরি শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন, ‘দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি কেউ জনপ্রিয় নেতা থাকেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে বসে আলোচনা করে ক্ষোভ মেটান দরকার ছিল।

দলে শুভেন্দুর অবদান অনেক বেশি। যাদের বিরুদ্ধে মানুষ ও কর্মীদের ক্ষোভ আছে তাঁদের সরিয়ে দিলেই দলের ভাবমূর্তি ভাল হবে। কলকাতার নেতাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। শুধু আমি কেন, সবাই দিদির সঙ্গে থাকতে চায়, তবে দিদির পরে যারা আছে তাঁদের দলদাস হয়ে নয়।’

তবে তৃণমূলের এই ডামাডোল অবস্থাকে এখন বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে বিজেপি। শুভেন্দুর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা ও দলত্যাগের ঘটনাকে এদিন স্বাগত জানিয়েছেন মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ। মুকুল বলেন, ‘বাংলায় গণ আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত।

ওঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে কবে বিজেপিতে যোগ দেবে, এখনও জানি না। সময় মতো ভেবেচিন্তে সঠিক সিদ্ধান্তই নিশ্চয়ই নেবে।’ অন্যদিকে দিলীপ জানান, ‘শুভেন্দুবাবুকে স্বাগত জানাবো। তাঁর তৃণমূল ত্যাগের ঘটনাকেও স্বাগত জানাচ্ছি। এভাবেই মে মাসে বাংলাকে তৃণমূলমুক্ত করতে চাই আমরা।’

 

সুত্র: এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button