Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
ঝাড়গ্রাম

তিনমাস বেতন না পেয়ে ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে ঠিকা-কর্মীদের বিক্ষোভ

স্বপ্নীল মজুমদার

তিনমাস বেতন না পেয়ে ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে ঠিকা-কর্মীদের বিক্ষোভ

ঝাড়গ্রাম: তিন মাস বেতন মেলেনি। উপরন্তু, স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে সরকারি ভাবে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম জেলা করোনা হাসপাতালের দু’টি ইউনিটের ৬৪ জন ঠিকা-কর্মী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। বেতন না পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ওই ঠিকা-কর্মীরা।

বকেয়া বেতনের দাবিতে বুধবার দুপুরে করোনা হাসপাতালের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। খবর পেয়ে আসে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। আসেন ওই কর্মীদের নিয়োগকারী বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার কর্তা সুভাষ দাস। বিক্ষোভ চলাকালীন এক অভুক্ত কর্মী অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান।

আরও পড়ুন: ঘরের মাঠেই শুভেন্দু-বরণ, স্বাগত জানাবেন শাহ

তিনমাস বেতন না পেয়ে ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে ঠিকা-কর্মীদের বিক্ষোভ

প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। ঠিকা-কর্মীদের বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার দূরবর্তী বিভিন্ন গ্রামে। এতদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হতো। তাঁদের বেতন দেয় ওই বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাটি। অভিযোগ, স্বাস্থ্য দপ্তরের গাফিলতিতে ঠিকাদার সংস্থাটি বেশ কয়েকমাস বিল পায়নি।

তিনমাস বেতন না পেয়ে ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে ঠিকা-কর্মীদের বিক্ষোভ

সেই কারণে গত অক্টোবর থেকে ওই ঠিকা-কর্মীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। ঠিকা-কর্মী সাগরিকা সিং বলেন, “আমার বাড়ি চন্দ্রি গ্রামে। স্বাস্থ্য দপ্তর আমাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন কোথায় থাকব? বেতন পাইনি তিনমাস। খাবো কী?”

আরও পড়ুন:‘ ‘তৃণমূলে দিদি ছাড়া অন্য কাউকে মানব না’: জিতেন্দ্র

আর এক ঠিকা-কর্মী গোপীবল্লভপুরের স্বরূপ জানা বলেন, “আমরা দিনরাত এক করে করোনা রোগীদের সেবা শুশ্রূষা করছি। অথচ আমাদের কথা কেউ ভাবছেন না।” ঠিকা-কর্মীরা জানান, করোনা হাসপাতালে কাজ করার জন্য নিজের বাড়িতেও তাঁরা ফিরতে পারছেন না।

তিনমাস বেতন না পেয়ে ঝাড়গ্রাম করোনা হাসপাতালে ঠিকা-কর্মীদের বিক্ষোভ

শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সরকারের সঙ্গে ঠিকা-কর্মীদের এক প্রতিনিধি দল দেখা করেন। সুপারের হস্তক্ষেপে সুভাষ দাস বকেয়া বেতন মেটানোর আশ্বাস দেন। বিকালে বিক্ষোভ ওঠে।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button