ভারতীয় সিনেমার দুঃখজনক বছর ২০২০
২০২০ সালটি যেন হারানোর বছর। এই বছর বলিউড হারিয়েছে বেশ কয়েকজন গুণী শিল্পীকে। কয়েকটি মৃত্যু চমকে দিয়েছে বলিউডপ্রেমীদের। বলিউডের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক একটি বছর এটি। যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়।
তাপস পাল: ৬১ বছর বয়সে ১৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য তাপস পালের। স্নায়ু ও রক্তচাপের সমস্যার কারণে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনেও ছিলেন।
ইরফান খান: ২৯ এপ্রিল মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে মারা যান ইরফান খান। বলিউডের দক্ষ এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে লড়ছিলেন ক্যান্সারের সঙ্গে।
আরও পড়ুন : অনুষ্কা ‘বেবি বাম্প’ কোহলির চোখে ‘বিউটিফুল’
ঋষি কাপুর: ইরফান খানের মৃত্যুর পরের দিন ৩০ এপ্রিল মারা যান আরেক কিংবদন্তী ঋষি কাপুর। তিনিও ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
ওয়াজিদ খান: ১ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪২ বছর বয়সে মারা যান বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক জুটি সাজিদ-ওয়াজিদের, ওয়াজিদ খান।
বসু চ্যাটার্জি: ৪ জুন ৯০ বছর বয়সে মারা যান বসু চ্যাটার্জি। পরিচালক-চিত্রনাট্যকার বাসু চট্টোপাধ্যায় ছোটি সি বাত, রজনীগন্ধা, বাতো বাতো ম্যায়, এক রুকা হুয়া ফয়সলা এবং চামেলি কি শাদি-র মতো ছবি তৈরি করেছেন।
সুশান্ত সিং রাজপুত: এবছর যেই মৃত্যু সবাইকে চমকে দিয়েছে তা হলো সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু। ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তার মরদেহ। এখনও এই মৃত্যুর রহস্য কাটেনি। এই মৃত্যুতে বদলে গেছে বলিউডের চিত্র।
সরোজ খান: হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে গত ৩ জুলাই মৃত্যু হয় জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার সরোজ খানের।
আরও পড়ুন : ‘বুকের দিকে তাকানো’ নিয়ে শ্রীলেখার বক্তব্যে তোলপাড়
জগদীপ: বলিউডের সুপরিচিত কৌতুক অভিনেতা জগদীপ মারা গেছেন ৮ জুলাই। তিনি বলিউড অভিনেতা ও নৃত্য শিল্পী জাভেদ জাফরি ও নাভেদ জাফরির বাবা। বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে তার।
নিশিকান্ত কামাত: দৃশ্যম খ্যাত পরিচালক নিশিকান্ত কামাত মারা গেছেন ১৬ আগস্ট। লিভার সিরোসিসের সমস্যায় বহুদিন ধরে ভুগছিলেন নিশিকান্ত।
এসপি বালাসুব্রমনিয়ম: ২৫ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন বলিউডের কিংবদন্তি গায়ক এসপি বালাসুব্রমনিয়ম। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে প্রায় ২ মাস ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান এই শিল্পী।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়: সিনেমা, নাটক, আবৃত্তি সবখানেই দক্ষ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় গত ৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হন। প্রায় ৪০ দিন বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ই নভেম্বর ৮৫ বছর বয়সে মারা যান এই কিংবদন্তি।