ঝাড়গ্রাম: সস্ত্রীক দেবীর থানে বিজয়ী হওয়ার প্রার্থনা জানালেন বিজেপির ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুখময় শতপথী। ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তিনি। সোমবার ঝাড়গ্রাম গ্রামীণের গুপ্তমণি মন্দিরে স্ত্রী মোনালিসকে সঙ্গে নিয়ে পুজো দিতে যান সুখময়।
পুজো দিয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে সুখময় বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনে তৃণমূল শূন্য করে এবার পদ্মফুল ফুটবেই।” রাজনৈতিক মহল মনে করছে এবার, ভোটে ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির জোর লড়াই হবে। তবে সংযুক্ত মোর্চার তরফে চারটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। সেই কারণে অবশ্য ভোট কাটাকুটিতে তৃণমূলেরই লাভ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সুখময় জানাচ্ছেন, “মানুষ আর সিপিএমকে বিশ্বাস করেন না। আর তৃণমূলের উপর মানুষ বীতশ্রদ্ধ। এবার জঙ্গলমহলে গেরুয়া ঝড় হবে।”
আরও পড়ুন : মমতার প্রার্থী বিরবাহাকে জেতাবেন ছত্রধর
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলের বেশ কিছু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসন দখল করে নেয় বিজেপি। লোকসভা ভোটেও তৃণমূল ধরাশায়ী হয়। ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপির কুনার হেমব্রম। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল।
পঞ্চায়েতের পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি কাটমানি আদায়ের অভিযোগ। যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “সব মিথ্যা অভিযোগ। আমাদের মত সৎ ও জনদরদীরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমরা বিপুল ভোটে জিতব।” সুখময় অবশ্য বলছেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পরে তৃণমূলকে মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”