চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে সকাল থেকেই অশান্তির খবরে চিন্তায় কমিশন
প্রথম,দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর আজ ১০ ই এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ।তৃতীয় দফায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই তৎপর হয়ে রয়েছে কমিশন।যাতে চতুর্থ দফার ভোট সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় আপাতত তাতেই মনোযোগ দিয়েছেন সকল কর্মকর্তারা। চতুর্থ দফায় প্রায় প্রত্যেকটি আসন অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত। তাই যেকোনো মুহূর্তে এই আসনগুলিতে অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে খুব সহজেই। আজ চতুর্থ দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলির মোট ৪৪ টি আসনে ভোট হবে। গতকাল রাত থেকেই এই অঞ্চলগুলি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই অস্থিরতার খবর সামনে এসেছে। বেহালা পূর্ব আসনে বিজেপি কর্মীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভাঙচুর এবং মারধর ছাড়াও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন : ‘সিটি অফ ফিউচার’ হবে কলকাতা, সব গলিতে থাকবে সিসিটিভি : অমিত শাহ
চতুর্থ দফার প্রত্যেকটি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করতে চলেছে। বিশেষত কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার এই দুটি আসন লক্ষ্য রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এই দুটি কেন্দ্রে গতবার তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই কমে গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সম্মুখে ভরাডুবির পর চলতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সেখানকার মানুষকে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ছিলেন মমতা। আজ চতুর্থ দফার ভোটের পরেই মমতা ব্যানার্জির আর্জি কতটা মঞ্জুর করেছে মানুষ তা প্রমাণিত হবে।তবে নির্বাচনী প্রচার সম্পন্ন হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন : খুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন মমতা
অপরদিকে অশান্তি রুখতে সকাল থেকেই সক্রিয় হয়ে পড়েছে আজ নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফার ভোটের জন্য আজ সারা রাজ্য জুড়ে মোট ৯০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বুথের পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৭৯৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।বাদবাকিরা সমগ্র এলাকায় টহল এবং নজরদারিতে কাজ চালাবেন। আজ হাওড়ায় মোতায়েন করা হয়েছে ১৪০ কোম্পানি,হুগলিতে ১৭৫ কোম্পানি বাহিনী।কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে যথাক্রমে ১৮৮ ও ১০৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে।এই স্পর্শকাতর এলাকাগুলি ছাড়াও কলকাতা পুলিশের এলাকাতেও ১০১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাওড়া গ্রামীনে ৩৭ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন রাখা হচ্ছে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দ্বিতীয় দফার ভোটএর পর থেকেই নিজেদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীদের গুলি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে। তাই আজকের ভোট অত্যন্ত সক্রিয় হতে চলেছে রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে তা স্পষ্ট।