রাজ্য

‘স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে’ পুলিশকে যাতায়াতের আর্জি জানিয়ে চিঠি লালবাজারের

‘স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে’ পুলিশকে যাতায়াতের আর্জি জানিয়ে চিঠি লালবাজারের - West Bengal News 24

সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহর ও শহরতলির লোকাল ট্রেন। বাসও চলছে খুব কম। এর ফলে কলকাতায় ডিউটিতে আসতে মুশকিলে পড়েছেন দূর-দূরান্তের বিভিন্ন জেলায় থাকা কলকাতা পুলিশের কর্মী থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোমগার্ডেরা। অনেকে ডিউটিতে আসা বন্ধও করে দিয়েছেন। সমস্যার সমাধানে তাঁদের ‘স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে’ উঠতে দেওয়ার জন্য রেলকে এ বার চিঠি দিল লালবাজার।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার এই আবেদন জানিয়ে শিয়ালদহ এবং হাওড়ার দুই ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে চিঠি লিখেছেন কলকাতা পুলিশের বিশেষ কমিশনার দেবাশিস রায়। চিঠিতে তিনি বলেছেন, পুলিশকর্মীরা সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বহু পুলিশকর্মী প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাই তাঁদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হোক। এর আগে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই বিশেষ ট্রেনে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়ার জন্য রেলকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।

লালবাজার সূত্রের খবর, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সেখানেই আপাতত ১৪ দিনের জন্য হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে সব শাখার লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন কলকাতার বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড, থানা বা লালবাজারে কর্মরত পুলিশকর্মী, হোমগার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। কারণ, তাঁদের একটা বড় অংশই লোকাল ট্রেনে রোজ অফিস যাতায়াত করেন। এই অবস্থায় তাঁদের যাতে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।

উল্লেখ্য, রেল তাদের কর্মীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বা কাজে যোগদানের সুবিধার্থে এই বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে। সেটি থামছে সব স্টেশনেই।

দক্ষিণ শহরতলির একটি ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত এক হোমগার্ড বলেন, ”লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের অটো অথবা বাসে করে অফিসে আসতে হচ্ছে। তাতে যা খরচ হচ্ছে, তা দিয়ে আমাদের সংসার চলবে না। তাই অনেকেই নিয়মিত ডিউটিতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।”

গত বছরও করোনার প্রকোপের সময়ে একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল নিচুতলার পুলিশকর্মীদের। অধিকাংশকে ব্যারাকে জায়গা দেওয়া গেলেও সিভিক ভলান্টিয়ার বা হোমগার্ডদের সেই সুবিধা ছিল না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ডিউটিতে আসা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল।

সূত্র: আনন্দবাজার

আরও পড়ুন ::

Back to top button