চড়া দাম হাঁকার অভিযোগে ১০ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দিল তেলেঙ্গানা সরকার
একদিকে যখন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশাহারা সাধারণ মানুষ, ভেঙে পড়েছে গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, তখনও কিন্তু মুনাফার দিকটা মাথা থেকে বের করতে পারছেন না কিছু মানুষ। মানুষের প্রাণের চেয়েও টাকার মূল্যই তাঁদের কাছে বেশি। এমন মানসিকতার বিরুদ্ধেই এবার কড়া হল তেলেঙ্গানা প্রশাসন।
কোভিড আবহে বেসরকারি হাসপাতালগুলির চিকিত্সা পদ্ধতি এবং খরচ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এবার চিকিত্সা পরিষেবার জন্য চড়া দাম হাঁকার অভিযোগে দশ-দশটি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দিল তেলেঙ্গানা সরকার। শুধু তাই নয়, এমন অভিযোগে রাজ্যের আরও ৭৯টি হাসপাতালকে নোটিসও পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তেলেঙ্গানা সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এই কড়া পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই।
শুধু চড়া দামই নয়, অভিযোগ হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিত্সাও পাচ্ছিলেন না করোনা আক্রান্ত রোগীরা। যখন তখন যেখানে সেখানে রোগীদের স্থানান্তরিত করাও হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে একাধিক অভিযোগ পেয়েই চূড়ান্ত পদক্ষেপ করেছে তেলেঙ্গানা সরকার।
একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এক রোগীর আত্মীয় জানিয়েছেন, তাঁকে দিন প্রতি ১ লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয়েছিল। ওই মহিলার ছেলে করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। পরে সরকারি হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করতে বাধ্য হন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমরা গরিব।
এত টাকা দিতে পারব না। তাই ওকে সরিয়ে আনলাম।’ নিজের বাড়ি বিক্রি করলেও হাসপাতালের বিল জোগাড় করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। এদিকে কোভিড চিকিত্সার জন্য কত টাকা ধার্য করতে হবে তার একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল তেলেঙ্গানা সরকার। কিন্তু সেই সরকারি গাইডলাইন মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ।
রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে অসন্তোষও ধীরে ধীরে জমে উঠছিল। সূত্রের খবর, এক করোনা রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মীদের আক্রমণও করা হয়েছে সম্প্রতি। সব দিক বিবেচনা করেই কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।
সূত্র : দ্য ওয়াল