জাতীয়

জুলাইয়ের মাঝামাঝি দিনে এক কোটি করে করোনা টিকার ডোজ পাওয়া যাবে জানালেন আইসিএমআর প্রধান

জুলাইয়ের মাঝামাঝি দিনে এক কোটি করে করোনা টিকার ডোজ পাওয়া যাবে জানালেন আইসিএমআর প্রধান - West Bengal News 24

জুলাই মাসের মধ্যে দেশে করোনা টিকার উত্‍পাদন বৃদ্ধি পাবে বলে দিনকয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার দুপুরে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রধান ডক্টর বলরাম ভার্গব জানালেন, মাঝ জুলাই থেকে ভ্যাকসিনের উত্‍পাদন প্রায় দ্বিগুণ হবে। প্রতিদিনে এক কোটি করে টিকার ডোজ পাওয়া যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সকলকে টিকার দুটি করে ডোজ দেওয়াই লক্ষ্য কেন্দ্রের। আইসিএমআর প্রধানের বক্তব্য, দেশের তৈরি টিকা ছাড়াও একাধিক বিদেশি ভ্যাকসিনও চলে আসবে বাজারে। দেশেও উত্‍পাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে অগস্টের শুরুর মধ্যেই কোভিড ভ্যাকসিনের জোগান বিপুল হবে। ডক্টর ভার্গব আরও বলেন, দেশে এখন টিকার ঘাটতি নেই। ঘাটতি তখনই চোখে পড়ছে যখন একমাসের মধ্যে সকলে ভ্যাকসিনের ডোজ নিতে চাইছেন। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে আমাদের দেশের জনসংখ্যা বিপুল। আমেরিকায় যা হচ্ছে ভারতে সেটা হওয়া সম্ভব নয়। ভারতের জনসংখ্যা আমেরিকার চেয়ে চার গুণ বেশি। কাজেই সকলকে ধৈর্য্য রাখতেই হবে।

একুশ সাল শেষ হওয়ার আগেই গোটা দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলা হবে বলে গত শুক্রবারই ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। দেশে জুলাই মাসের মধ্যে টিকার উত্‍পাদন আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টেও হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশে টিকা উত্‍পাদনকারী সংস্থাগুলির আর্থিক বরাদ্দ বাড়িয়েছে সরকার। ফলে জুলাই মাস থেকেই উত্‍পাদন বৃদ্ধি পাবে।

গত সপ্তাহে কেরল হাইকোর্টকেও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে এখন প্রতি মাসে সাড়ে আট কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি হয়, দিনের হিসেবে যা ২৮ লাখের মতো। জুলাই মাস থেকে এই উত্‍পাদনই আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশে টিকা উত্‍পাদন কেন কম হচ্ছে, তা নিয়ে বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্য প্রশ্ন তুলেছে। আদালতে মামলাও হয়েছে। একই সঙ্গে দেশে কোভিড টিকার দাম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে অগস্টের মধ্যে দেশে আরও আট রকম ভ্যাকসিন চলে আসার কথা রয়েছে। দেশি ছাড়াও একাধিক বিদেশি ভ্যাকসিনেও ছাড়পত্র দেওয়া হবে। টিকার ডোজের পরিমাণও বাড়বে। ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটির বেশি টিকার ডোজ তৈরি হয়ে যাবে। ফলে দেশের একটা বড় অংশের মানুষকে টিকার দুটো ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে।

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button