‘স্কুল ফি বাকি থাকলেও অনলাইন ক্লাসে সুযোগ দিতে হবে’ : কলকাতা হাইকোর্ট
করোনা মহামারীর এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কোনও পড়ুয়া ফি দিতে না পারলেও তাকে অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। শুক্রবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দিশারী স্কুলের ফি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে শুনানি করার সময় এই নির্দেশ দেয় আদালত।
শুক্রবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, গোটা দেশ তথা রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখনও বর্তমান। ছাত্র-ছাত্রী কেউই স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে পারছেন না। সেই কারণে স্কুল ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়ার অনলাইন ক্লাস বাতিল করা যাবে না। তবে আগের যত ফি বাকি রয়েছে তা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ধাপে ধাপে মিটিয়ে দিতে হবে। এবং গত বারের মতোই এ বছরও মোট স্কুল ফি-র সর্বাধিক ৮০ শতাংশ নেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মামলাটি দায়ের হয়েছিল তখন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, ফি বাকি থাকলেও যেন কোনও পড়ুয়াকে বঞ্চিত না করা হয়। তিনি নির্দেশ দেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ফি ২০ % কমাতে হবে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে। পরবর্তী সময় মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে গেলেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। পড়াশুনো চলছে ভার্চুয়ালি। কিন্তু স্কুলের ফি যথারীতি একই দিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলের সামনে ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল বন্ধ থাকলেও বেতনে কোনও কাটঁছাট করেনি কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গতবছর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় বেসরকারি স্কুলগুলিকে বার্তা দিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তারা ফি বৃদ্ধি করতে পারবে না। স্কুলের মাইনে না দিলেও পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাসে সুযোগ দিতে হবে।
সূত্র : কলকাতা ২৪*৭