রাজ্য

টান পড়েছে রুজিরুটিতে, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ রাজ্যের বিউটিশিয়ানরা

টান পড়েছে রুজিরুটিতে, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ রাজ্যের বিউটিশিয়ানরা - West Bengal News 24

বঙ্গে করোনা মোকাবিলায় জারি হয়েছে লকডাউন। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই খোলা হচ্ছে বাজার দোকান। আগামী ১৫ই জুনের পর থেকে ধীরে ধীরে নিয়ম মেনেই চালু করা হবে রাজ্যের রেস্তোঁরা, হোটেল ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে চরম সংকটে পড়েছেন বিউটি পার্লারের কর্মীরা। বেশ কিছু পরিষেবায় ছাড়পত্র মিললেও জিম, স্পা বা বিউটি পার্লার চালু করার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি।

ফলে, রুজিরুটিতে টান পড়েছে এই সমস্ত পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষের। নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিউটি পার্লার চালু করার আবেদন জানিয়ে দরখাস্ত দিলেন রাজ্যের বিউটিশিয়ানরা। বিউটি পার্লার চালু করার জন্য মমতা বন্দ্যোাধ্যায়কে দরখাস্ত দিলেন একাধিক বিউটি পার্লারের কর্ণধার ও কর্মীরা।

তাঁদের দাবি, রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি হলেও শর্তসাপেক্ষে হোটেল রেস্তোঁরা খোলায় ছাড় মিলছে। এমনকি মদ ও মিষ্টির দোকানও খুলে রাখা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ও বাজার খোলা থাকছে নিয়মমাফিক। কিন্তু বিউটি পার্লার, জিম, স্পা ইত্যাদি পরিষেবাগুলি চালু করার কোনো নির্দেশ দেয়নি রাজ্য সরকার। ফলে অতন্তরে পড়েছেন বিউটি পার্লারগুলিতে কাজ করা অধিকাংশ মানুষ। যে সমস্ত মহিলারা কাজের মধ্যে দিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছিলেন পার্লার বন্ধ থাকায় কাজ খোয়াতে বসেছেন তাঁরা। মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই কথা জানিয়েই দরখাস্ত দিয়েছেন বিউটিশিয়ানরা।

ঠিক কি লেখা রয়েছে সেই দরখাস্তে? বিউটিশিয়নরা লিখেছেন, “মাননীয়া, তৃতীয়বারের জন্য আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখে আমরা যারপরনাই আপ্লুত। আমরা ছোট ব্যবসায়ী। ধীরে ধীরে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছি। করোনা মোকাবিলায় আপনি যা পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সদর্থক। তবে দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় কাজ হারাতে বসেছেন অনেকেই।

যেভাবে শর্তসাপেক্ষে মিষ্টির দোকান, হোটেল, রেস্তোঁরা, খোলা থাকছে, সেই একই কোভিড বিধি মেনে পার্লার খোলার অনুমতি দিলে আমরা বাধিত থাকব। এই দুঃসময়ে আমাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের জন্য যদি কোন পদক্ষেপ করেন তবে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।” ইতিমধ্যেই সেই দরখাস্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন তাঁরা। আগামী দিনে এই মর্মে নবান্নের কাছে জমায়েত করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। প্রয়োজনে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও নিজেদের আবেদন পৌঁছে দিতে পিছপা হবেন না।

উল্লেখ্য, গত বছরও করোনার প্রথম ঢেউয়ে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছিল। সেপ্টেম্বর নাগাদ সব কিছু চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করলেও ফের ব্যবসা চালু করতে সময় লেগেছিল পার্লার কর্মীদের। লকডাউনের জেরে হু হু করে কমেছিল উপভোক্তাদের। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও প্রয়োজনীয় কর্মীদের অভাবে প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে বসে বেশ কিছু পার্লারের ব্যবসা। কোভিড বিধি মেনেই ব্যবসা চালালেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ফিরিয়ে আনে সেই পুরনো আতঙ্ক। পেশার টানেই মূলত এদিন দরখাস্ত জমা দেন পার্লার কর্মীরা।

সূত্র : এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button