একুশের বিধানসভা ভোটে হেরে গেলেও মিলেছে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ। সায়নী ঘোষের উপর আস্থা রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। দলের যুব সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সায়নীকে। আর দায়িত্ব পেয়েই তৃণমূলের যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করতে একাধিক দাওয়াই দিলেন সায়নী ঘোষ।
তৃণমূলের যুবর নামে আলাদা একটি ফেসবুক পেজ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কারণ এতদিন তৃণমূল যুবর নামে আলাদা কোনও ফেসবুক পেজ ছিল না। দায়িত্ব পেয়েই এ বিষয়ে নজর পড়ে সায়নীর। বিজেপির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধে সামিল হতে চাইছেন সায়নী ঘোষ। কারণ বিজেপির আইটি সেল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায় তৃণমূলের নামে। আর এই অপপ্রচারের পাল্টা দিতে চাইছেন সায়নী।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে দিল্লির মসনদে বসাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে দলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের জনহিতকর প্রকল্পগুলি নিয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রের জনবিরোধী কাজগুলি নিয়েও সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে বলেই মনে করেন তরুণ প্রজন্মের নেত্রী সায়নী।
অভিনয় তাঁর পেশা হলেও তৃণমূলের যুব সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন সায়নী। রাজ্যের প্রতিটি বুথে ১০ থেকে ১২ জনের অ্যাক্টিভ সদস্যদের নিয়ে একটি করে বিশেষ দল তৈরি করতে চাইছেন সায়নী। বাংলার বাইরেও অন্যান্য রাজ্যে তৃণমূল যুবর সদস্য তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন সায়নী। তৃণমূল যাতে ২০২৪ লোকসভায় বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারে সেই জন্যই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে দলের যুব সংগঠনকে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে হেভিওয়েট লড়াই ছিল সায়নী ঘোষ এবং অগ্নিমিত্রা পালের মধ্যে। যুযুধান ২ পক্ষের নেত্রী প্রচারে বেরিয়েও কড়া ভাষায় ব্যক্তি আক্রমণে মেতে উঠেছিলেন। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়েননি। শেষপর্যন্ত অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু সায়নীর লড়াকু মানসিকতাই তাঁকে এনে দিয়েছে তৃণমূল যুব সভাপতির পদ, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।