মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রধান বিরোধী মুখ হন, তাহলে আর লালকেল্লায় ভাষণ দিতে পারবেননা নরেন্দ্র মোদি। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য রবিবার এই চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিলেন। এ দিন বারাসতের এক অনুষ্ঠানে এসে দেবাংশু দাবি করলেন, বাংলা থেকে ৫টার বেশি আসন পাবে না বিজেপি।
খেলা হবে স্লোগানের প্রবর্তক দেবাংশু ভট্টাচার্য এর দাবি করলেন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে যেনতেন প্রকারে বাংলা দখল করতে। ২০০-র বেশি আসনে জিতবে বলেছিল। অথচ আটকে যেতে হল ৭৭-এ। দেবাংশু বলেন, ‘বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। সেই কারণেই মন্ত্রীদের গ্রেফতারি থেকে রাজ্যের আমলাকে ডেকে পাঠানোর মত কাজ করছে পদ্ম শিবির। তারা চেষ্টা করছে রাজ্যকে ডিস্টার্ব করতে। এখন তো আবার রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছে।
উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য চাইছে।’ এরপরই সরাসরি কেন্দ্র সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘বুকের পাটা থাকলে রাষ্ট্রপতি শাসন করে দেখাক কেন্দ্র।’ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিরাট মার্জিনে জিতলেও খেলা শেষ হয়নি। তা মনে করিয়ে দিয়েই দেবাংশুর দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ২০২৪-এ প্রধান বিরোধী মুখ হন, তাহলে আর নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লায় ভাষণ দিতে পারবেন না’,
নির্বাচনের আগে থেকেই দেবাংশু দাবি করেছিলেন, গতবারের চেয়েও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। ‘খেলা হবে’-র তালে যেন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার জমি দখল করা অত সহজ নয়। ফল প্রকাশের দিন তার কথা মিলে যেতেই লাইভে এসে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।
কান্না জড়ানো গলায় বলেছিলেন, ‘খেলা হয়ে গেছে, দিদির ছবি সরে গেছে, গাদ্দার ও বেইমানদের সঙ্গে খেলা হয়ে গেছে।’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ব্যক্তিগত আক্রমণ সহ্য করেছি…’। কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন দেবাংশু। কান্না জড়ানো গলায় বলেন, ‘ আমার মা, বাবা, দিদি টেনশনে বাইরে বের হতে পারতেন না। ছেলে রাজনীতি করে। যদি কিছু একটা হয়ে যায়। আমি বলেছিলাম, ২ মে-র পর মাথা উঁচু করে বাইরে বেরোবে। কথা মিলে গেল।’
সূত্র : এই মুহুর্তে