বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এর অ্যাকাউন্ট ব্লক করল ট্যুইটার। একবার নয় দু-দু’বার অর্জুন সিংয়ের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ট্যুইটার। কপিরাইট আইনের জেরেই এই ব্লক করা হয়েছে। তা উল্লেখ করেই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এর কাছে অভিযোগ জানালেন বাংলার বিজেপি সাংসদ। অবশ্য তার আগেই এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মন্ত্রীর অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে রেখেছিল ট্যুইটার।
আমেরিকার ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের জেরে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ট্যুইটার হ্যান্ডেল ব্লক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে ট্যাগ করে ট্যুইটারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অর্জুন সিং। স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রকে।
যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু হয়ে যায়। এর আগে খোদ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীরই অ্যাকাউন্ট ব্লক করে ট্যুইটার। শুক্রবার একঘণ্টারও বেশি সময় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যদিও পরে তাঁর অ্যাকাউন্ট আনব্লক করে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পরে অ্যাকাউন্ট আনব্লক হতেই ট্যু ইটে ঝড় তোলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জানান, ‘ট্যুইটারের এমন আচরণ ইন্টার্মেডিয়ারি গাইডলাইনস অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড অনুযায়ী নিয়মবিরুদ্ধ। কোনও ওয়ার্নিং বা নোটিশ না দিয়েই অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, ডিজিটাল সুরক্ষা আইন নিয়ে ভারত সরকার এবং ট্যু ইটারের দ্বিমত অব্যাহত।
সরকারের দাবি, ভারতে ব্যবসা করতে গেলে দেশের আইন মেনে চলতে হবে ট্যুইটারকে। সে ক্ষেত্রে দেশেই রাখতে হবে একজন নোডাল অফিসার, সোশ্যাল মিডিয়ার ডেটাবেস। আর এতেই বেঁকে বসে ট্যুইটার। সংস্থার পাল্টা অভিযোগ, ভারত সরকারের আইনে স্পষ্ট বলা নেই কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক।
ট্যুইটার ভারত সরকারের আইন না মানায় ট্যু ইটারের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ট্যু ইটারের মাধ্যমে কোনও জায়গায় সমস্যার উদ্রেক হলে টুইট করা ব্যক্তির সঙ্গে দায়ী থাকবে ট্যু ইটারও। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
সূত্র : এই মুহুর্তে