জল্পনা ছিলই। জল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে সম্ভবত আজই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন প্রণব-পুত্র অভিজিত্ মুখার্জি। বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চলছিল অভিজিত্ মুখার্জির। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আজ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা অভিজিত্ মুখার্জির। বিকেল ৪ টের সময় তৃণমূল ভবনে এই যোগদানের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, বলেই জানাচ্ছে তৃণমূলের একটি সূত্র। অভিজিত্ মুখার্জি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর লোকসভা আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন।
কংগ্রসের টিকিটেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জঙ্গিপুর লোকসভা আসনে ভোটে দাঁড়ালেও তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান অভিজিত্ বাবু। গত কয়েক মাস ধরেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সেভাবে কোনও যোগাযোগ ছিল না অভিজিত্ বাবুর। একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় কংগ্রেসের হয়ে প্রচারেও দেখা যায়নি অভিজিত্ মুখার্জিকে।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই বিভিন্ন বিরোধী দল থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। প্রণব-পুত্র অভিজিত্ মুখার্জীকে নিয়েও বাড়ছিল জল্পনা। কারণ কয়েক সপ্তাহ আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করেন অভিজিত্ মুখার্জী। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক ব্যানার্জির অফিসে আসেন অভিজিত্ বাবু। সেখানেই দু’জনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। আর বৈঠক থেকেই উঠে আসছে নানা জল্পনা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিজিত্ মুখার্জীর তৃণমূলে যোগ দেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বেশ কয়েকদিন আগেই অভিজিত্ মুখার্জীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান। আবু তাহের খানের সঙ্গে অভিজিত্ মুখার্জির সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের মন্ত্রী এবং বিধায়করাও। সেই দলে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী আখরুজ্জামান ও সাবিনা ইয়াসমিন।
সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ও মহম্মদ সোহরাব-সহ আরও অনেকেই যান অভিজিত্ বাবুর সঙ্গে দেখা করতে। জঙ্গিপুরে হয় সেই বৈঠক। তবে ওই বৈঠক নিয়ে তৃণমূল নেতারা জানান, সৌজন্যমূলক সাক্ষাত্ করতেই তাঁরা গিয়েছিলেন। তৃণমূলে কবে যোগ দিচ্ছেন অভিজিত্ বাবু এ বিষয়ে সেইসময় কিছু বলতে চাননি তৃণমূল নেতারা। তবে অভিজিত্ বাবুর ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, জঙ্গিপুরের বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক বিষয়ে সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়।
সুত্র : আজকাল