টিনএজ’দের মানসিকতার পরিবর্তন
পাঁচ বছর আগেও নাকি ১৪ থেকে ১৭ বছরের জার্মান তরুণ-তরুণীরা আগে ভাগেই চলে যায় বিছানায়, বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক মিলনে৷ এর ফলে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণীরা অনাকাঙ্খিতভাবে গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং বেশিরভাগ সময়ে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটতো৷তাই, এ নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন সমাজকর্মীরা।
চিন্তার কিছুটা অবসান ঘটিয়ে, পাঁচ বছর আগের তুলনায় এই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক বিশেষ করে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের অনেকেই এখন অপেক্ষা করছে, বিছানায় যাবার আগে তারা আগেপিছে অনেক কিছু ভেবে নিচ্ছে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, আগে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের মধ্যে শতকরা ১২ ভাগ বন্ধুর সঙ্গে যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতো। এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা সাতভাগে। আর পাঁচ বছর আগে ছেলেদের মধ্যে এই হার ছিল ১০ ভাগ। এখন সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা চার ভাগে।
অন্যদিকে, ১৭ বছর বয়সি মেয়েদের মধ্যে বিশেষ অভিজ্ঞতা নেবার এই হার কমলেও ছেলেদের ক্ষেত্রে তেমন কমেনি বলেই প্রকাশ।
ঐ গবেষণায় করা এক প্রশ্নের উত্তরে এই টিনএজার গ্রুপের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা আসলে মিস্টার রাইট অথবা মিসেস রাইটকেই খুঁজছেন। এ কাজে তারা বেশ খানিকটা সময় নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে রাখার চিন্তাটাই তাদের মাথায় খেলছে। পছন্দের পাত্র বা পাত্রীকে খুঁজে বের করা তো সহজ নয়!- বলছেন তারা। জার্মান সরকারের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের পরিচালক এলিজাবেথ পট এমনটাই জানাচ্ছেন। তিনি বলছেন, টিনএজ গ্রুপের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটতে চলছে দ্রুত, সঠিক যৌনশিক্ষার জন্যই।
আমাদের দেশে মেয়েরা হয়তো এত তাড়াতাড়িই যৌনতায় লিপ্ত হয় না। কিন্তু, এখনকার কলেজগামী মেয়েরাও ওই জার্মানি পন্থায় বিশ্বাসী। জীবনের মিস্টার রাইট কে খুঁজতে, তারাও সময় নেয়…