সাহিত্য

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য আবারও হাসপাতালে ভর্তি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ

Buddhadeb Guha : শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য আবারও হাসপাতালে ভর্তি সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ - West Bengal News 24

ফের হাসপাতালে ভর্তি প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিল তিনি। আইসিইউকে রাখা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর তাঁর মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সাহিত্যিকের চিকিত্‍সায় চার সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে আইসিইউকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা শরীরে অনেকটাই কমে গিয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। চার সদস্যের মেডিকেল টিম চিকিত্‍সা করছেন বুদ্ধদেব গুহর। গত রবিবারই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বুদ্ধদেব গুহর মূত্রনালীতেও সংক্রমণ রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই চিকিত্‍সকরা তাঁর করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।

কয়েক মাস আগেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে প্রায় ১ মাস চিকিত্‍সা চলেছিল তাঁর। করোনা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব গুহ। করোনার সেকেন্ড ওয়েভে একাধিক বিিশষ্ট ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও করোনা হয়েছিল। তাঁরাও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

দীর্ঘ চিকিত্‍সার পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাড়ি ফেরেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি সিওপিডি ছিল তাঁর। সেকারণে প্রবল শ্বাসকষ্ট ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

করোনার সেকেন্ড ওয়েভে একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। সেই কারনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। করোনা সেরে গেলেও পোস্ট কোভিড সমস্যার কারণে আর তাঁকে বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফেরেননি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। হাসাপাতালেই দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা যান সত্যজিত রায়ের অপু।

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মারাত্মক আকার নিয়েছিল বাংলায়। ভোটের কারণেই সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেয় বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশন সব জেনেও করোনা বিধি নিয়ে কড়াকড়ি দেখায়নি। তারপরেই করোনা বিধি নিয়ে কড়া কড়ি শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

শেষ দুই দফার প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দেওয়া হয়। এমনকী কোনও রকম বিজয় মিছিলও করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। করোনার কারণে ভোটে জয়ের পরেও ২১ জুলাই ভার্চুয়াল ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন ::

Back to top button