পূর্ব মেদিনীপুর

রেলব্রিজ থেকে বর্ষার ভরা নদীতে ঝাঁপ, কোলাঘাটে মহিলাকে বাঁচালেন মত্সজীবীরা

রেলব্রিজ থেকে বর্ষার ভরা নদীতে ঝাঁপ, কোলাঘাটে মহিলাকে বাঁচালেন মত্সজীবীরা - West Bengal News 24

বৃহস্পতিবার সকালে এক বৃদ্ধাকে হঠাত্‍ করেই কোলাঘাট সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপরই ওই বৃদ্ধা, ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিত্‍কার করতে শুরু করেন। সেই সময় নদীর পাড়ে বসে মাঝিরা আড্ডা দিচ্ছিল। তারা ঐ বৃদ্ধার আর্তনাদ শুনে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করার কাজ শুরু করে। সেই সময় নদীতে কোন‌ও নৌকা ছিল না। তবে পাড়ে থাকা নৌকা দ্রুত জলে নামিয়ে মাঝিরা ঐ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন।

উদ্ধারকারী জানিয়েছেন তারা ঐ বৃদ্ধার কাছে পৌঁছানোর আগেই তিনি ভেসে-ভেসে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চলে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত জীবিত অবস্থাতেই তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করতে পারেন। জানা গিয়েছে ওই বৃদ্ধার ৮ টি মেয়ে ও ১ টি ছেলে আছে। তিনি ছেলের কাছেই থাকতেন। তবে পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। পারিবারিক অশান্তির কারণেই ওই বৃদ্ধা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন।

তবে জলে পরে যাওয়ার পরই তিনি সম্ভবত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই বাঁচানোর জন্য চিত্‍কার করতে থাকেন। যদিও উদ্ধারকারীরা তাঁর কাছে গিয়ে পৌঁছলে তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও, আমি আর বাঁচতে চাই না।’ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন উদ্ধারকারীরা। তাঁকে নাম এবং বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, তিনি মেদিনীপুর জেলায় থাকেন। পুরো ঠিকানা জানতে চাইলেও চুপ করে থাকেন ওই বৃদ্ধা।

শেষ পর্যন্ত ওই বৃদ্ধাকে কোলাঘাট বিট হাউস থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ঐ বৃদ্ধার বাড়ির ঠিকানা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে। কেন তিনি বাড়ি ফিরতে চাইছেন না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পারিবারিক অশান্তির কারণে বয়স্ক মানুষরাও ক্রমশ আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠছেন।

দিন কয়েক আগে আমরাই কাটোয়া পুর এলাকার এক বৃদ্ধার ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরি। যিনি আত্মহত্যা করার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। যদিও স্থানীয় মাঝিদের কল্যাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল বৃহস্পতিবার।

সূত্র : দ্য ওয়াল

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button