দিল্লির নেতাদের সঙ্গে ঘনঘন ফোন, সভাপতি পদ থেকে কি সরছেন দিলীপ ঘোষ? গুঞ্জন বিজেপিতে
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কি পদ থেকে সরছেন? মুরলিধর সেন লেন জুড়ে এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। কারণ রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই বছরই। বিজেপির রীতি অনুযায়ী, দু’বার রাজ্য সভাপতির পদে বসলে আর ওই পদে থাকা যায় না। সুতরাং দলের নিয়মেই সরে যাওয়ার কথা দিলীপ ঘোষের। তাঁর জায়গায় কে আসবেন? সূত্রের খবর, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও দেয়নি দিল্লির নেতারা।
এদিকে সোমবার কলকাতায় বৈঠকে বসেছে বঙ্গ বিজেপির কর্তারা। সাংগঠনিক রদবদলের বিষয়টি সেখানে উঠবে বলে খবর। এই রদবদলের বিষয়ে একাধিকবার কথা হয়েছে দিলীপ ঘোষের। বিজেপির আর একটা সূত্রের খবর, আপাতত দিলীপ ঘোষই থাকবেন রাজ্য সভাপতি। তবে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে। আর রাশ থাকছে দিলীপ ঘোষের হাতেই। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের দলে অনেক নতুন লোক এসেছেন। আমরা বিরোধী দল হয়েছি। এবার আমাদের রদবদল করা হতেই পারে। পরিবর্তন সময়েরই নিয়ম।’
অন্য একটি সূত্রে খবর, সম্প্রতি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা দিলীপ ঘোষের কাছে দলের নতুন রাজ্য সভাপতির জন্য নাম প্রস্তাব করতে বলেছেন। তাতে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সুকান্ত মজুমদার দিলীপ–ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। কিন্তু সুকান্ত পরিচিত মুখ নন। একসময় দিলীপও অপরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই বছর নভেম্বর মাসেই রাজ্য সভাপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে দিলীপ ঘোষের। দু’বার রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষকে পুরস্কৃত করা হবে বলে মনে করছেন অনেকে। আবার বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাদের ধারণা ছিল, নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে জায়গা হতে পারে দিলীপের, কিন্তু তা হয়নি। তাই আরও কিছুদিন দিলীপকেই সংগঠনের মুখ রেখে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস