ঝাড়গ্রাম

রেলের দাবিতে ‘আমরা ঝাড়গ্রামবাসী’র রিলে অনশন

স্বপ্নীল মজুমদার

রেলের দাবিতে ‘আমরা ঝাড়গ্রামবাসী’র রিলে অনশন - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: রেল সংক্রান্ত ‘আমরা ঝাড়গ্রামবাসী’র দাবি সমর্থন করে এবার রিলে অনশনে যোগ দিল ঝাড়গ্রাম শহরের জুবিলি বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। বুধবার সংগঠনের ছ’জন প্রতিনিধি ঝাড়গ্রাম স্টেশন চত্বরে রিলে অনশন কর্মসূচিতে যোগ দেন। এর আগে ঝাড়গ্রামবাসীর এই আন্দোলনকে সমর্থন করে কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে কুড়মি সমন্বয় মঞ্চও। দূরপাল্লার ট্রেনের পুনরায় স্টপেজ দেওয়া সহ চার দফা দাবিতে গত শুক্রবার থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশন চত্বরে রিলে অনশন শুরু করেছেন ঝাড়গ্রামের দলমত নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষ। মঞ্চটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমরা ঝাড়গ্রামবাসী’।

সোমবার ঝাড়গ্রাম স্টেশন চত্বরে রিলে অনশন মঞ্চে হাজির হন কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের নেতা অশোক মাহাতো সহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ওইদিন আমরা ঝাড়গ্রামবাসীর আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অশোকরা রেল সংক্রান্ত আরও একটি নতুন দাবি যুক্ত করেন। সেটি হল ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া প্রস্তাবিত রেলপথ।

ঝাড়গ্রাম স্টেশনে তিনটি দূরপাল্লার ট্রেনের ফের স্টপেজ, হাওড়া-টাটা স্টিল এক্সপ্রেস চালু, টাটা-খড়্গপুর শাখায় বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনের পরিষেবা চালু ও কদমকানন রেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে চলছে ওই রিলে অনশন।

আরও পড়ুন : বিজেপি মন্ত্রীদের কথায় বাংলা ভাগ হবে না : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আমরা ঝাড়গ্রামবাসীর পক্ষে প্রতীক মৈত্র বলেন, ‘‘কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের দাবিটিও আমাদের চারটি দাবির সঙ্গে পঞ্চম দাবি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই আমরা আন্দোলনের পাশে চাই। জুবিলি বাজার ব্যবসায়ী সমিতিও আমাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছে।’’ কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের নেতা অশোক মাহাতো বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলের রেলের দাবিতে ‘আমরা ঝাড়গ্রামবাসী’র রিলে অনশন কর্মসূচিকে আমরা সমর্থন করেছি। সেই সঙ্গে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম রেলপথের দাবিটিও যুক্ত করেছি।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া রেলপথের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রকল্পটি ঠাণ্ডাঘরে। ঝাড়গ্রামবাসীর আন্দোলনে এমন একটি দাবি যুক্ত করার বিষয়টি কুড়মি অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলার আবেগ উস্কে দেওয়ারই প্রচেষ্টা বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।

বিধানসভা ভোটের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পুরী, মুম্বই ও দিল্লিগামী তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া শুরু হয়। সম্প্রতি তিনটি ট্রেনেরই স্টপেজ প্রত্যাহার করে নিয়েছে রেল। আর তারপরই আন্দোলনে নেমেছেন ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button