সংগীত

তালেবান নেতাকে চ্যালেঞ্জ আদনান সামির

Adnan Sami : তালেবান নেতাকে চ্যালেঞ্জ আদনান সামির - West Bengal News 24

কাবুলের বুকে এখন তালেবানদের উত্তপ্ত নিঃশ্বাস। অনেক নাগরিকই তাদের জীবন ও ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। তালেবানের ভয়ে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির নাগরিকেরা মনে করছেন তালেবানের কট্টর শাসনের মুখে চ্যালেঞ্জে পড়ে যাবে দেশটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা৷ শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের লোকেরাও আছেন আতঙ্কে।

এদিকে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ। তাই আশা করছি, আমরা লোকজনকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার বিষয়টি বোঝাতে পারব, তবে চাপ প্রয়োগ করে না।’

জাবিউল্লাহ মুজাহিদের এমন বক্তব্যে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা আদনান সামি।

আরো পড়ুন : কন্যা সন্তানের মা হলেন ‘দেশের মাটি’-এর নোয়া, ‘বেবি গার্ল’-এর সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত শ্রুতি

গেলো রোববার (২৯ আগস্ট) যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের একটি খবর নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি এটা দেখান যে পবিত্র কোরানের কোথায় উল্লেখ আছে সংগীত হারাম বা ইসলাম পরিপন্থি! এটাও আমাকে দেখান যে কোনো একটা হাদীস, যেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এমন কিছু উল্লেখ করেছেন। কোথাও নেই।’

আদনান সামির এই পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। নজর কেড়েছে নেটাগরিকদের। সেখানে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে আদনান সামির পক্ষে মত প্রকাশ করলেও কেউ কেউ তার ইসলামিক জ্ঞান ও জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন আদনান সামি। বড় হওয়া এবং পড়াশোনা ইংল্যান্ডেই। তার বাবা আরশাদ সামি খান ছিলেন পাশতুন প্রজাতির। পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর পাইলট আরশাদ পরে কূটনীতিক হন। ১৪টি দেশে তিনি পাকিস্তানের দূত হয়ে কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন : নোরা ফাতেহির সুপারহিট ‘ও সাকি’ গানে দুর্দান্ত নেচে ভাইরাল তিন যুবতি, দেখুন সেই ভিডিও

আদনান সামির মা নৌরিন ছিলেন জম্মু কাশ্মীরের মেয়ে। ২০০১ সালে থেকে পর্যটক ভিসায় ভারতে থেকেছেন আদনান সামি। ২০১৫ সালে তিনি ভারত সরকারের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করেন। ২০১৬ সালে তার আবেদন মঞ্জুর হয়। তাকে বলা হয় সঙ্গীতের সুলতান।

উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকে তালেবান শাসনকালে দেশটিতে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কড়াভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আর কেউ এই নিয়ম অমান্য করলে তাকে গুরুতর শাস্তি পেতে হতো।

আরও পড়ুন ::

Back to top button